মাদার টেরেসার 'নীল পাড়-সাদা শাড়ি' পেল নতুন এক তকমা
মাদার টেরেসার সেই শাড়িই এবার ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টির অধীনে চলে এলো। কলকাতায় তাঁর প্রতিষ্ঠান মিশনরিজ অব চ্যারিটি-র 'ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি' হিসাবে এই শাড়ি পরিগণিত হবে এবার থেকে।
পরনের নীল পাড়-সাদা শাড়ির স্নিগ্ধতা আলাদা করে চিনিয়ে দিত মাদার টেরেসার ঐশ্বরিক পবিত্রতাকে। আর মাদার টেরেসার সেই শাড়িই এবার ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টির অধীনে চলে এলো। কলকাতায় তাঁর প্রতিষ্ঠান মিশনরিজ অব চ্যারিটি-র 'ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি' হিসাবে এই শাড়ি পরিগণিত হবে এবার থেকে।[আরও পড়ুন: 'বিটিফিকেশন' থেকে 'ক্যানোনাইজেশন', সন্ত হতে যে পথ পেরলেন মাদার টেরেসা]
ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অ্যাটর্নি বিশ্বজিৎ সরকার জানিয়েছে, ' ভারত সরকারের ট্রেড মার্কস রেজিস্ট্রি , নির্দিষ্ট ধাঁচের নীল পাড়-সাদা শাড়িকে ট্রেড মার্কের রেজিস্ট্রেশন দিয়েছে।' তিনি জানিয়েছেন একটি বিশেষ ধরনের নীল পাড়ের সাদা শাড়ি , যা 'মিশনারিজ অব চ্যারিটি'-র সদস্যারা পড়ে থাকেন, সেই শাড়িকেই এই তকমা দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, যে সাধারণত মিশনারিজ অব চ্যারিজিট কোনও ভাবেই প্রচার পছন্দ করেনা। তবে এই নির্দিষ্ট শাড়ির ধরন যেভাবে যত্র তত্র 'ব্যবহার' হচ্ছে , তা অপছন্দ প্রতিষ্ঠানের।[আরও পড়ুন:মাদার টেরেসার 'অ্যাগনেস' থেকে 'সন্ত' হওয়ার কাহিনি জেনে নিন একনজরে]
উল্লেখ্য, কোনও জিনিসের ওপর ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি রাইটস লাগু হলে, সেই জিনিসটির ওপর একচছত্র অধিকার থাকে বিশেষ একটি প্রতিষ্ঠানের। এই প্রক্রিয়া আইনসিদ্ধ। এতে ট্রেড মার্ক, বা কপিরাইট, অথবা পেটেন্ট কিংবা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইন রাইটের কোনও একটি থাকে। কোনও সৃষ্টি, আবিষ্কার , প্রতীক, শব্দ, ইত্যাদি বহু জিনিসের ক্ষেত্রে এটি লাগু হয়।
প্রসঙ্গত, এই শাড়ির বিষয়ে ট্রেডমার্ক বৈধকরণের জন্য ২০১৩ সালে আবেদন করা হয়। তারপর প্রায় ৩ বছর অপেক্ষার পর, এই বৈধকরণের ওপর শিলমোহর দেয় ভারত সরকার। এই প্রথম কোনও 'ইউনিফর্মে' ট্রেড মার্ক লাগু করার মতো ঘটনা ঘটল। উল্লেখ্য, ১৯৪৮ সাল থেকে কলকাতার পথ শিশু, দুঃস্থদের সেবায় নিয়োজিত ছিলেন মাদার চেরেসা। পরে আর্তদের সেবায় তিনি প্রতিষ্ঠা করেন মিশনারিজ অব চ্যারিটিজ। তাঁর সেবা-সাধনার জন্.য় মাদারকে 'সেন্ট' উপাধিও দেয় ভ্যাটিক্যান। এরপর তাঁর পরনের শাড়ির বিশেষ ঘরানাও পেল বিশেষ তকমা।