শচীনের মেয়ে সারার প্রেমে পাগল ‘প্রেমিক’! মহিষাদলের যুবকের স্থান হল শ্রীঘরে
শচীনের মেয়েকে বিয়ে করার জন্য পাগল‘প্রেমিক’। তাই নম্বর জোগাড় করে লাগাতার ফোন করে সারাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে শ্রীঘরে স্থান হল যুবকের।
শচীনের মেয়েকে বিয়ে করার জন্য পাগল 'প্রেমিক'। তাই নম্বর জোগাড় করে লাগাতার ফোন করে সারাকে প্রেম নিবেদন এবং বিয়ের প্রস্তাব দেয় সে। শেষমেষ নাছোড়বান্দা 'পাগল-প্রেমিকে'র স্থান হল শ্রীঘরে। পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদল থেকে দেবকুমার মাইতি নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার সারা শরীরের শচীনের মেয়ে সারার নামে ট্যাটু আঁকা। ধৃতের পরিবারের দাবি ওই যুবক মানসিক ভারসাম্যহীন।
[আরও পড়ুন:পশ্চিমবঙ্গে রাজস্থানের তীর্থযাত্রীদের ওপর হামলা ও হুমকির অভিযোগ]
শনিবার রাতে মুম্বই পুলিশের একটি দল হানা দেয় পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলে। মহিষাদলের আন্দুলিয়ায় তাঁর বাড়ি থেকে দেবকুমারকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার করার পরও ধৃত যুবক একই দাবি জানায় যে, 'সে বিয়ে করতে চায় সারাকে।' অভিযোগ, দিন ১৫ আগে শচীনের মেয়েকে ফোন করে বিয়ের প্রস্তাব দেয় দেবকুমার। সারাকে বিরক্ত করতে থাকে বারবার ফোন করে।
শুধু এখানেই শেষ নয়, নাছোড় 'প্রেমিক' তারপর শচীনের অফিসেও ফোন করে। বারণ করা সত্ত্বেও সে বিরক্ত করে যাচ্ছিল সারাকে। বাধ্য হয়েই মুম্বইয়ের বান্দ্রা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন শচীন তেন্ডুলকর। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে মহিষাদল থেকে গ্রেফতার করা হয় 'পাগল-প্রেমিক'কে।
রবিবার ধৃত দেবকুমারকে হলদিয়া আদালতে পেশ করা হয়েছে। তাঁকে ট্রানজিট রিমান্ডে মুম্বই নিয়ে গিয়ে জেরা করবে পুলিশ। কী করে সে সারার নম্বর পেল, কী করেই বা পেল শচীনের অফিসের নম্বর, তা জানতে চাইছে পুলিশ। ওই যুবক যে মানসিক ভারসাম্যহীন, তা মানতে নারাজ পুলিশ। পুলিশের যুক্তি কোনও মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক এত পরিকল্পনামাফিক কাজ করতে পারে না।
পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে, ওই যুবক মুম্বইয়ে কাজ করতে গিয়েছিল। সেখান থেকেই কোনওভাবে নম্বর জোগাড় করে থাকতে পারে। এই ফোন নম্বরের উৎস জানত চায় পুলিশ। তবে সারাকে বিয়ে করতে চেয়ে ধৃত যুবক যে পাগল, তা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে পুলিশের কাছে। ধরা পড়ার পরও তাঁর মুখে একটাই উক্তি, সে সারাকে বিয়ে করতে চায়। তার সারা শরীরেও সারার নামে ট্যাটু ভর্তি।