সব্যসাচীও চলতি হাওয়ার পন্থী! মুকুল-দিলীপের বন্দনায় রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ চূড়ান্ত
এক প্রাক্তন মেয়রকে দলে নিয়েছে বিজেপি, অপর এক প্রাক্তন মেয়র ঝুলে রয়েছে দীর্ঘদিনি ধরে। আজ আসবে, কাল আসবে করে চলছে জল্পনা। দল তাঁকে সরিয়ে দিয়েছে মেয়রের পদ থেকে।
এক প্রাক্তন মেয়রকে দলে নিয়েছে বিজেপি, অপর এক প্রাক্তন মেয়র ঝুলে রয়েছে দীর্ঘদিনি ধরে। আজ আসবে, কাল আসবে করে চলছে জল্পনা। দল তাঁকে সরিয়ে দিয়েছে মেয়রের পদ থেকে। তবু তিনি নিজেকে তৃণমূল কংগ্রেসের সৈনিক বলেই পরিচয় দেন। তিনি সব্যসাচী দত্ত, বিধাননগর পুরসভার প্রাক্তন মেয়র।
বিজেপিতে পা বাড়িয়ে
তিনি বিজেপিতে পা বাড়িয়ে রেখেছেন বলে রাজনৈতিক মহলের সিংহভাগ বিশেষজ্ঞের ধারণা। তৃণমূলের এহেন সৈনিকের মুকুলের সঙ্গে যোগাযোগ যে ক্রমশই দাদা-ভাইয়ের সম্পর্ক থেকে অন্য দিকে মোড় নিচ্ছে, তার জানান দিয়ে গেল সব্যসাচীর গণেশ পূজা। যেখানে গেরুয়া শিবিরের নেতাদের বাড়বাড়ন্ত চোখে পড়ার মতো।
গণেশ-বন্দনা গেরুয়াময়
সব্যসাচীর পুজোর উদ্বোধন করলেন খোদ দিলীপ ঘোষ। তারপর উপস্থিত হলেন রাজ্যের ডেপুটি পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন। আর দাদা মুকুল রায় তো আছেনই। এই পরিস্থিতিতে একটা শিশুও বলে দেবে সব্যসাচীর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কোন দিকে বাঁকতে চলেছে। একইসঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে, এত কিছুর পরও কেন সব্যসাচী তৃণমূলে?
ঘাসফুল ছেড়ে পদ্ম-অনুরাগী
সব্যসাচী যে শুধু বিজেপি-যোগ আর মুকুল রায়ের সঙ্গে দাদা-ভাইয়ের সম্পর্ক বলে এড়িয়ে যেতে পারবেন না, তা স্পষ্ট। কেননা সব্যসাচীর গণশে পুজোর মণ্ডপসজ্জাতেও স্পষ্ট তাঁর ভবিষ্যৎ পন্থা। ঘাসফুল ছেড়ে তিনি যে পদ্ম-অনুরাগী হয়ে উঠেছেন, তার প্রমাণ পরতে পরতে।
ভবিষ্যৎ অনেকটাই স্পষ্ট
শোভন ও বৈশাখীর বিজেপিতে যোগদানের দিনও সব্যসাচীর পদ্মশিবিরে প্রবেশ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। দুই প্রাক্তন মেয়র একসঙ্গে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করতে পারেন বলেও রটে গিয়েছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত সব্যসাচীও পথ মাড়ানি। তবে গণেশপুজোয় বিজেপি রাজ্যনেতাদের উপস্থিতি দেখে সব্যসাচীর ভবিষ্যৎ অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে গেল।
[আরও পড়ুন:বিজেপির ছেলেরাই মাথা ফাটিয়ে দিল 'হিংসার নায়ক' অর্জুনের! চাঞ্চল্যকর দাবি পুলিশের ]
[আরও পড়ুন: 'ভাদ্র মাস বলেই এমন আর্থিক মন্দা'! মোদী দিলেন নয়া তত্ত্ব ]