মমতার মুখোমুখি সব্যসাচী! মেয়র পদে ইস্তফার পর প্রথমবার, নেপথ্যে মুকুল রায়
একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে সরকারি কর্মীদের বার্তা দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাফ জানিয়েছিলেন কেন্দ্রের হারে বেতন পেতে গেলে কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরি করুন।
সম্প্রতি বিধাননগরের মেয়র পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন সব্যসাচী দত্ত। তবে তিনি এখনও তৃণমূলের বিধায়ক। সেই পরিচয় নিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠকে স্বমহিমায় আসীন সব্যসাচী। রাজারহাটের তৃণমূল বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রীর সভা মঞ্চের সামনে বসেই এলাকার সমস্যা নিয়ে সরব হলেন। মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করলেন সব্যসাচী।
বিধায়কের ভূমিকায় সব্যসাচী
কয়েকদিন তাঁকে বিধাননগরের মেয়র পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে তাঁকে সরে যেতে একপ্রকার বাধ্য করেছে দলেরই একাংশ। তারপরও তিনি বিধায়কের ভূমিকা পালন করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থেকে। দেখিয়ে দিলেন রাজ্য প্রশাসনকে স্বচ্ছ করার পথ।
জলাশয় ভরাট করে বাড়ি!
তিনি অভিযোগ করলেন, এলাকায় জলাশয় ভরাট করে বাড়ি হচ্ছে। ভেড়ি বা জমির মালিকানা কার, তাও জানা নেই। তিনি এ ব্যাপারে বহুবার দরবার করেছেন জেলা শাসকের কাছে, তারপরও সমাধান হয়নি। এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারি আধিকারিককে ডেকে সমস্যা সমাধানের পথ স্থির করতে নির্দেশ দেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোমুখি সব্যসাচী
এর আগে তৃণমূলের এক অনুষ্ঠানে সব্যসাচীকে ডেকে মমতা বলেছিলেন, তুই তৃণমুলে আছিস কেন? বিজেপি-তে চলে যা। তারপর বিধাননগরের মেয়র পদ থেকে তাকে বরখাস্ত করা হয়। তবু শুক্রবার মধ্যমগ্রামে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে যে ভূমিকা নিলেন সব্যসাচী দত্ত, তাতে রাজনৈতিক মহলে ফের নতুন করে চর্চা হবেই।
তৃণমূলে থেকে অস্বস্তিতে, নেপথ্যে মুকুল
রাজনৈতিক মহলের একটা অংশ মনে করছে, বিধাননগরের মেয়র পদ থেকে ইস্তফার পরও তিনি বিজেপিতে যোগদান না করে তৃণমূলে থেকে অস্বস্তিতে ফেলার কাজ করে যাচ্ছেন সব্যসাচী। এখনও তাঁর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে মুকুল রায়ের। তাঁর পরামর্শেই তৃণমূলকে অস্বস্তিতে ফেলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।