রূপার রোড শো গেরো! হুড খোলা গাড়িতে প্রচারে বেরিয়েও কেন ফিরতে হল বিজেপি নেত্রীকে
নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেওয়া সময়ের বিধি পরে রোড শোতে হাজির হন বিজেপি রাজ্য নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়।
নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেওয়া সময়ের বিধি পরে রোড শোতে হাজির হন বিজেপি রাজ্য নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। কর্মীদের উদ্দিপনা থাকা সত্যেও যেহেতু নির্ধারিত সময় পার হয়ে গেছে, তার জেরে বিজেপি কর্মীদের সাথে কথা বলে রোড শো না করেই কার্যত জলপাইগুড়ি থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেন রূপা।
কী ঘটেছে?
তবে এদিন নেত্রী আশ্বাস দিয়ে গেলেন দু দিন পরে ফের জলপাইগুড়িতে রোড শোতে হাজির হবেন। শনিবার সন্ধে শহরের ডি বি সি রোডের জেলা বিজেপি কার্যালয়ে প্রচুর বিজেপি কর্মী হাজির হয়। জলপাইগুড়ি বিজেপি প্রার্থী চিকিৎসক জয়ন্ত রায়কে নিয়ে রোড শো করার কথা ছিল। কর্মীদের উদ্দিপনা ছিল চোখে পড়ার মত। 'হর হর মোদী ঘর ঘর মোদী ' স্লোগানে মাতেন কর্মীরা।
জলপাইগুড়িতে রূপার প্রচার
নির্বাচন কমিশন দুপুর তিনিটে থেকে সন্ধে ছয় টা পর্যন্ত রোড শো অনুমতি দেয়। রাস্তায় যানজট থাকায় এদিন রূপা গঙ্গোপাধ্যায় ৬ টা ৫০ মিনিটে জেলা পার্টি অফিসে হাজির হন। সকলে তখন রোড শো করার জন্য উৎসাহ নিয়ে ছিলেন। কিন্তু রূপা হুট খোলা গাড়িতে উঠেন দেখন নিধারিত সময় অতিক্রম করে গেছে। তাই কর্মীদের বার্তা দেন ফের জলপাইগুড়ি দু দিনের মধ্যে কলকাতা থেকে ফিরে আসবেন। তবে আজকে রোড শো করা হবে না বলে পরিস্কার ঘোষনা করেন।
ভোটের আবেদন
অন্যদিকে হুড খোলা গাড়িতে জলপাইগুড়ি বিজেপি চিকিৎসক জয়ন্ত রায়কে পাশে রেখে বিজেপিকে ভোট দেবার আবেদন জানান। এরপর নিজের গাড়ি ধরে স্টেশনের উদ্দেশ্যে বের হয়ে যান। তবে যাবার আগে রূপা গঙ্গোপাধ্যায় জানালেন, আমি রাতসা দিয়ে আসার সময় পথে একটি তৃণমূলের মিছিল দেখলাম। তৃনমূলের সন্ত্রাস চলছে। কোচবিহারের প্রার্থীকে মারধর করা হয়েছে। ব্যঙ্গ করে তিনি বলেন, তৃণমূলের মিছিলে সকলেই বন্দেমাতরম বলছে। কারোর মুখে হাসি নেই। তৃণমূল এতদিন জল এবং টল দিয়ে মানুষকে ভেবেছিলেন পিছিয়ে রাখবেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এক মাত্র আয়ের উৎস মদের দোকান। এবার জল আর টল দিয়ে ভোট প্রচার করতে পারবে না।
[আরও পড়ুন: ওয়াইনাদে প্রার্থী রাহুল! কংগ্রেসের কাছে জবাব চাইল সিপিআই]