রূপকথা নয়, বাস্তবেই গুপ্তধনের সন্ধান! পরিত্যক্ত রাজবাড়ি ঘিরে রহস্য তুঙ্গে
ডোমজুড়ের নিউ কোরলা এলাকার বাসিন্দা প্রদীপ হালদার একটি পোড়ো বাড়ি কেনেন। সেই বাড়িটিই সংস্কারের কাজ চলছিল। হঠাৎ রটে যায় ওই বাড়ির নিচে রয়েছে গুপ্তধন।
পরিত্যক্ত জমিদার বাড়িতে খননকার্যের সময়ে বেরিয়ে এল গুপ্ত সুড়ঙ্গ। আর সেখানেই সন্ধান মিলল একটি কলসির। সেই কলসিকে ঘিরেই গুপ্তধনের গুজব ছড়িয়ে পড়ল এলাকায়। সোমবার দুপুরে হাওড়ার ডোমজুড়ে প্রবল চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এই গুপ্তধন উদ্ধারের গুজবে। মুহূর্তের মধ্যেই এলাকায় গুপ্তধন দেখার ভিড় জমতে শুরু করে। উত্তেজনা ছড়ানোর আগেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ডোমজুড়ের নিউ কোরলা এলাকার বাসিন্দা প্রদীপ হালদার একটি পোড়ো বাড়ি কেনেন। সেই বাড়িটিই সংস্কারের কাজ চলছিল। হঠাৎ রটে যায় ওই বাড়ি থেকে প্রচুর ধনসম্পত্তি, মণি-মাণিক্য, সোনা-হিরের অলঙ্কার পাওয়া গিয়েছে। সেই গুজবেই এলাকায় ভিড় জমাতে থাকেন স্থানীয়রা। কোথা থেকে এল গুপ্তধন? তা জানতেই মানুষের উৎসাহ বাড়তে থাকে।
শেষপর্যন্ত পুলিশ একটি কলসি উদ্ধার করে পোড়োবাড়ির একটি সুড়ঙ্গ থেকে। সে কলসিতে কী রয়েছে তা জানায়নি পুলিশ। তা উদ্ধার করে ডোমজুড় থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেই পরীক্ষা করে দেখা হবে, ওই কলসিতে কী রয়েছে। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। ওই গোপন সুড়ঙ্গ ও কুঠুরিতে আরও কিছু উদ্ধার হতে পারে বলে মনে করছে পুলিশও।
সংস্কারের কাজ করার সময় বাড়ির নীচে একটি সুড়ঙ্গের সন্ধান পাওয়া যায়। তাতেই তরতর করে বাড়তে থাকে গুপ্তধনের জল্পনা। ওই পোড়োবাড়িটি আসলে একটি রাজবাড়ি। তাই গুপ্তধনের খবর ছড়িয়ে পড়ে সহজেই। এখন দেখার রূপকথার গল্পে যে গুপ্তধনের কথা শোনা যায়, তা বাস্তবে মেলে কি না।