নরবলি দেওয়ার জন্য আনা হয়েছিল ৬ নাবালককে! উত্তাল কালনার পুজোমণ্ডপ
কালনার বৈদ্যপুরের ক্ষেত্রপাল গ্রামে শ্মশানে এই কালীপুজোর আয়োজন করা হয়েছি। সেই পুজোয় ৬ জন বালক ও বালিকাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তা থেকেই গ্রামবাসীদের মধ্যে সন্দেহ দানা বাঁধে।
কালীপুজোয় নরবলি দেওয়ার গুজবে উত্তেজনা ছড়াল বর্ধমানের কালনায়। ৬ জন বালক-বালিকাসহ ১৭ জনকে উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে এলাকা। আক্রানম্ত হন ৬ জন পুলিশকর্মী। পুলিশ দফায় দফায় অভিযান চালিয়ে ৪৫ জন গ্রামবাসীকে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার রাতে গুজব ছড়িয়ে পড়তেই হুলুস্থুল পড়ে যায় গ্রামে।
কালনার বৈদ্যপুরের ক্ষেত্রপাল গ্রামে শ্মশানে এই কালীপুজোর আয়োজন করা হয়েছি। সেই পুজোয় ৬ জন বালক ও বালিকাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তা থেকেই গ্রামবাসীদের মধ্যে সন্দেহ দানা বাঁধে। নরবলি দেওয়ার জন্যই হঠাৎ করে ওই কালীপুজোর আয়োজন করা হয়েছে বলে ধারণা জন্মায় গ্রামবাসীদের মনে।
এরপরই গ্রামবাসীরা কালক্ষেপ না করে চড়াও হয় পুজো উদ্যোক্তাদের উপর। অভিযোগ, পুজো উদ্যোক্তাদের জিজ্ঞাসা করার পরও সঠিক কোনও উত্তর পাননি তারা। তাদের কথায় অসঙ্গতিও ধরা পড়ে। তাতেই সন্দেহ আরও দৃঢ় হয়। তখন ৬ জন বালক-বালিকাকে তারা উদ্ধার করে। বাকিদের ঘেরাও করে রাখা হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ আসে ঘটনাস্থলে। পুলিশ ৬ বালক-বালিকাসহ ১৭ জনকে উদ্ধার করার চেষ্টা করে। তখনই গ্রামবাসীদের তরফে বাধা দেওয়া হয়। পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধ বাধে। ৬ জন পুলিশ আক্রান্ত হন গ্রামবাসীদের হাতে। এরপর বিশাল পুলিশ বাহিনী ও কমব্যাট ফোর্স এসে উদ্ধার করে ১৭ জনকে। শুক্রবার সকাল থেকেই গ্রামে তল্লাশি চালিয়ে ৪৫ জন গ্রামবাসীকে গ্রেফতার করা হয়।