জঙ্গলমহলে গেরুয়া শক্তির রহস্যের সন্ধান! শুরু প্রশাসনের অভিযান
পুরুলিয়ার মাটিতেই পরিবর্তনের ছায়া। পঞ্চায়েত ভোটের আগের দিনও এই ছায়াকেই বুঝতে পারেনি শাসক দল। ফলস্বরূপ ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে বিজেপি।
পুরুলিয়ার মাটিতেই পরিবর্তনের ছায়া। পঞ্চায়েত ভোটের আগের দিনও এই ছায়াকেই বুঝতে পারেনি শাসক দল। ফলস্বরূপ ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে বিজেপি। আর তার উৎস আঁচ করতে পেরেই জঙ্গলে রুচিন টহলে বেরিয়েছে কাউন্টার ইন্সারজেন্সি ফোর্স।
পুরুলিয়াকে ঘিরে হিসেব মেলাতে পারছে না শাসক দল। এলাকার রাস্তাঘাট পাকা হলেও ঠিক যেমন ঝাড়গ্রামের বিনপুর-২ ব্লকের জঙ্গল ঘেরা গ্রামে পঞ্চায়েত ভোটের হিসাব মেলাতে পারেনি তারা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের কথা ভোটের দুদিন আগে পর্যন্ত শাসকদলের ডাকা প্রতিটি মিছিল মিটিং-এ যে ভিড় হত তাতে বোঝার উপায় ছিল না এখানকার মানুষ অন্য কিছু ভাবছে। কিন্তু কোনও এক শক্তিই যেন সব উল্টে-পাল্টে দিয়েছে। ঠিক যেমন কোনও শক্তি এলাকার ছোট ছোট আদিবাসী গ্রামে রটিয়েছে, বর্তমান সরকার, আদিবাসীদের জমিতে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পাট্টা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে।
এবারের পঞ্চায়েত ভোটে এলাকায় প্রভাব বাড়িয়েছে আদিবাসী সমন্বয় মঞ্চ। শিমূলপাল, বাঁশপাহাড়ি, ভুলাভেদা গ্রাম পঞ্চায়েতে দখল নেওয়া সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, আদিবাসী মূলবাসীদের জাতিসত্তা রক্ষার উদ্দেশেই এই সংগঠন তৈরি করা হয়েছে। সিপিএম-এর পর তৃণমূল কেউই জাতিসত্তার স্বীকৃতি দেয়নি বলে অভিযোগ।
এরই মধ্যে জেল থেকে ছাড়া পাওয়া পূর্বতন জনগণের কমিটির সক্রিয় সদস্যদের অনেকেই এখন এলাকার বিজেপি কর্মী। তবে এলাকার পুরনো তৃণমূলকর্মীরাও ফলাফলের হিসেব মিলাতে পারছেন না। তবে ফলাফলের পিছনে থাকা সক্রিয় শক্তি নিয়ে কেউ কিছু বলতে চান না।
কিন্তু এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্কও তৈরি হয়েছে। সন্দেহ প্রশাসনের অন্দরমহলেও। সেই আতঙ্ক দূর করতেই এলাকায় আনা হয়েছে আইপিএস সিদ্ধিনাথ গুপ্তাকে। একসময়ে অপারেশন লালগড়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়া সিদ্ধিনাথ গুপ্তাকে দেওয়া হয়েছে কাউন্টার ইন্সারজেন্সি ফোর্সের দায়িত্ব। তারাই এলাকার জঙ্গলে শুরু করেছে তল্লাশি। এই তল্লাশির লক্ষ্য কারা তা এলাকাবাসীদের কাছেও পরিষ্কার।