রাজীব যেখানে, আমিও সেখানে! কোন পরিকল্পনা ফাঁস করলেন 'বেসুরো' রুদ্রনীল ঘোষ?
রাজ্য রাজনীতিতে চর্চাতে রয়েছেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ৷ সম্প্রতি তাঁর সঙ্গে একটি অনুষ্ঠানে দেখা হয় বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর৷ তার পর থেকেই তাঁর বিজেপি যোগ নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে৷ এই আবহে এদিন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্তফার পর রুদ্রনীল কোনও রাগঢাক না করেই জানিয়ে দেন, রাজীব যেখানে, তিনিও সেখানে।

শুভেন্দুকে সমর্থন রুদ্রনীলের
বিজেপিতে যোগদান করার পর শুভেন্দু যা বলছেন, সেই বিষয়ে যে তাঁর সমর্থন রয়েছে বলে গতকালই জানিয়েছিলেন রুদ্রনীল ঘোষ। যা ঘিরে তাঁর বিজেপি যোগের জল্পনায় নিজেই ইন্ধন জুগিয়েছেন রুদ্রনীল। স্বাভাবিকভাবেই তাই প্রশ্ন উঠছে, তিনি কি বিজেপিতে খুব শিগগিরই যোগ দেবেন? এই আবহে এদিন রাজীব ইস্যুতে রুদ্রনীল বলেন, 'যেভাবে রাজীব, শুভেন্দু, লক্ষ্মীর মতো কাজ করা নেতারা দল ছাড়ছেন, তাতে মানুষের ক্ষতি। হাওড়াতে আমি নিজে কাজ করতে চেয়ে পারিনি। ভবিষ্যতে রাজীব যেখানে যাবেন, আমিও সেখানেই যাব।'

গত কয়েক মাস ধরেই 'বেসুরো' রুদ্রনীল
এক সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ এই অভিনেতা গত কয়েক মাস ধরেই 'বেসুরো' ছিলেন৷ সম্প্রতি তাঁর জন্মদিনে তাঁর বাড়িতে যান বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পন্ডা৷ তাঁর সঙ্গে ফোনে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র কথাও হয়৷ তখন থেকেই জল্পনা চলছিল যে তিনি এবার বিজেপির পথে পা বাড়াবেন৷ শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে সাক্ষাৎ ও শুভেন্দুর বক্তব্যকে সমর্থন করার পর সেই জল্পনা আরও বাড়ল৷

রাজীবের পদত্যাগ
এদিকে বিধানসভা নির্বাচনের আগে আরও একবার ধাক্কা খেল তৃণমূল। শুভেন্দু অধিকারী, লক্ষ্মীরতন শুক্লার পর এবার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বনমন্ত্রীর পদ ছাড়লেন রাজীব। কিছুদিন ধরেই দলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়ছিল। সাবধানে এড়িয়ে যাচ্ছিলেন দলীয় কর্মসূচি। এমনকী মন্ত্রিসভার বৈঠকেও তিনি গরহাজির ছিলেন। যা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছিল।

কোন পথে পা বাড়াচ্ছেন রাজীব?
রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছিল, তাহলে কি শুভেন্দু, লক্ষ্মীরতনদের পথেই পা বাড়াচ্ছেন রাজীব? যদিও সেসব নিয়ে প্রকাশ্যে তিনি কিছুই বলেননি। আজ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠান রাজীব। পদত্যাগের পর তিনি রাজভবনে যান। রাজভবন থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কেঁদে ফেলেছিলেন রাজীব। এদিকে রাজীবের বিজেপি যোগের জল্পনা ক্রমেই আরও তীব্র।

রাজীবের সঙ্গে রুদ্রনীলও নাম লেখাবেন গেরুয়া শিবিরেই?
কয়েকদিন আগেই ফেসবুক লাইভ থেকে নিজের যাবতীয় বক্তব্য পেশ করেন। সেখান থেকে তাঁর বার্তা ছিল, 'রাজনীতি করি মানুষের স্বার্থে৷ মানুষের কাছেই আমি দায়বদ্ধ৷ মানুষই আমার অনুপ্রেরণা৷ মানুষ যেমনভাবে চাইবেন, আগামীদিনে সেভাবে এগিয়ে চলব৷' তবে সেদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা কিছু বলেননি। আর ছিল রাজ্যের বেকারত্বের সমস্যা। সেদিনও তৃণমূল বিধায়কের গলায় দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ স্পষ্ট ছিল। এই আবহে কি তাহলে বিজেপিতে যাচ্ছেন রাজীব? আর তা হলে, রুদ্রনীলও নাম লেখাবেন গেরুয়া শিবিরেই?
