নেতাজির অনুষ্ঠানে 'জয় শ্রীরাম' কেন? ভিক্টোরিয়ার ঘটনায় বিজেপিতে 'ধমক' আরএসএস-এর
নেতাজির জন্ম জয়ন্তীতে 'জয় শ্রী রাম' বিতর্ক ঘিরে বিজেপি তথা সঙ্ঘ পরিবারের অন্দরেই এবার দেখা দিল অসন্তোষ। সূত্রের খবর, নেতাজির জন্মদিনে ভিক্টোরিয়ায় যা ঘটেছে, তা মোটেই ভাল চোখে দেখছে না বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশ। এমনকী আরএসএস তা ভালভাবে নেয়নি। সূত্রের খবর, সেদিনের ঘটনায় বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা।
বিজেপি নেতাদের উপর রুষ্ঠ আরএসএস
এদিকে 'জয় শ্রী রাম' কাণ্ডে অভিযুক্ত বিজেপি নেতাদের উপর রুষ্ঠ আরএসএস। এদিকে বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ড্যামেজ কন্ট্রোল করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে বিজেপির তরফে। রাজনৈতিক মতানৈক্য ভুলে একসঙ্গে অনুষ্ঠানে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতেও তাল কাটে। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ রাম ভক্ত আরএসএস-ই।
অসন্তোষের কথা সংঘ জানিয়েছে দলের শীর্ষ নেতাদের
নিজেদের অসন্তোষের কথা সংঘ জানিয়েছে দলের শীর্ষ নেতাদের। যদিও, প্রকাশ্যে কোনও কিছুই স্বীকার করতে রাজি নন বিজেপির রাজ্য নেতারা। প্রদীপ জোশী ও ভাগাইয়াজি'র মতো সংঘের উপরতলার নেতৃত্ব এই নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। তাঁদের মত, নেতাজির জন্মদিনে জয় শ্রী রাম ধ্বনি দেওয়ায় ধাক্কা খেয়েছে প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি। পাশাপাশি এই ঘটনা মমতার হাতে হাতিয়ার তুলে দেওয়ার সমান। প্রশ্ন উঠেছে আমন্ত্রণের কার্ড বিলির মাপকাঠি নিয়েও
ঠিক কী হয়েছিল?
ঠিক কী হয়েছিল? ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভাষণ দিতে ডাকা হল, তখন দর্শকাসন থেকে কয়েকজন 'জয় শ্রীরাম' স্লোগান দিতে শুরু করেন৷ প্রথম সারিতে থাকা কয়েকজন থামানোর চেষ্টা করেন৷ কিন্তু যা ঘটার ততক্ষণে ঘটে গিয়েছে৷ কিছু বুঝে ওঠার আগেই ভাষণ দেওয়ার জন্য নির্ধারিত জায়গা ছেড়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজের আসনে ফিরে আসেন৷
ঘটনার জেরে চূড়ান্ত ক্ষুব্ধ হন মমতা
ঘটনার জেরে চূড়ান্ত ক্ষুব্ধ হন মমতা৷ তিনি বলেন, 'এটা সরকারি অনুষ্ঠান৷ কোনও রাজনৈতিক দলের অনুষ্ঠান নয়৷ এভাবে কাউকে ডেকে অপমান করার কোনও মানে হয় না৷ তাই আমি ভাষণ দেব না৷' মুখ্যমন্ত্রী যখন এই কথা বলছেন, তখন মঞ্চে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ও কেন্দ্রের এক মন্ত্রী৷
সেই সময় মঞ্চে উপস্থিত সকলেই হতচকিত হন
সেই সময় মঞ্চে উপস্থিত সকলেই হতচকিত৷ কাউকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সোজা চলে আসেন নিজের আসনে৷ প্রধানমন্ত্রীর পাশেই ছিল তাঁর নির্দিষ্ট আসন৷ এর পর কিছু স্মারক প্রকাশের অনুষ্ঠান হয়৷ তা হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত ধরেই৷ সেখানেও মমতা সামিল হন৷ তার পর যতক্ষণ অনুষ্ঠান হয়, ততক্ষণ মমতা মঞ্চেই ছিলেন৷
ঘটনা নিয়ে ব্যাপক শোরগোল পড়ে
যদিও এই ঘটনা নিয়ে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে৷ যাঁরা অতিথি হিসেবে ছিলেন, তাঁরা কীভাবে 'জয় শ্রীরাম' বললেন৷ অনেকেই সোশাল মিডিয়ায় প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন যে কীভাবে এমন একটি সরকারি অনুষ্ঠানে কোনও একটি দলের ব্যবহৃত স্লোগান ব্যবহার করা হয়৷ অনেকের মত, এতে আসলে নেতাজিকেই অপমান করা হল৷