তৃণমূল শাসনে দ্রুত গতিতে বাড়ছে আরএসএস! বৃদ্ধির হার জাতীয় গড়ের থেকেও বেশি
রাজ্যে তৃণমূলের শাসনে দ্রুত হারে বাড়ছে আরএসএস। এই বৃদ্ধির হার গোটা দেশে আরএসএস-এর বৃদ্ধির হারকে হার মানিয়েছে বলে জানিয়েছে আরএসএস।
রাজ্যে তৃণমূলের শাসনে দ্রুত হারে বাড়ছে আরএসএস। এই বৃদ্ধির হার গোটা দেশে আরএসএস-এর বৃদ্ধির হারকে হার মানিয়েছে বলে জানিয়েছে আরএসএস। আরএসএস সূত্রে দাবি করা হয়েছে, ২০১৩ সালে যেখানে আরএসএস-এর ৭৫০ টি শাখা ছিল, সেখানে ২০১৮-তে সেই শাখার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৭৯-তে।
আরএসএস সূত্রে জানা গিয়েছে, যেখানে গোটা দেশে গত বছর সংগঠন বৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ৪০ শতাংশ, সেখানে পশ্চিমবঙ্গে সংগঠন বৃদ্ধির হার প্রায় ৪৭ শতাংশ।
পশ্চিমবঙ্গে খুব ভাল সাড়া পাচ্ছে আরএসএস। যুবকদের অনেকেরই পছন্দের তালিকায় আরএসএস। জানিয়েছেন আরএসএস-এর দক্ষিণবঙ্গের সম্পাদক জিষ্ণু বসু। তাঁর অভিযোগ, বাংলাদেশের সন্ত্রাসবাদীদের আখড়া হয়ে উঠেছে বাংলা। যুবকদের আরএসএস-এ যোগদান মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তাদের সংগঠনের পাশাপাশি দেশকে শক্তি যোগাবে বলেই মনে করছেন জিষ্ণু বসু।
আরএসএস-এর মুখপত্র বিপ্লব রায় জানিয়েছেন, দক্ষিণবঙ্গে ৪৬২ টি মিলিয়ে সারা রাজ্যে ৬২১ টি সেবা কেন্দ্র রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গে ৬৬ টি ব্লকে স্বাস্থ্য, শিক্ষার মতো সেবা কাজের সঙ্গে যুক্ত তাঁদের সদস্যরা। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য দুটি জেলা হল হুগলি ও পশ্চিম বর্ধমান।
রাজ্যে শাসকদল রাম নবমী উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় খুশি আরএসএস-এর রাজ্য নেতৃত্ব। তাদের মতে, নিজেদের অবস্থান বদল করতে বাধ্য হয়েছে তৃণমূল। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে শোভাযাত্রা প্রসঙ্গে আর এসএস-এর রাজ্য নেতৃত্বের মত, মহরম এবং রামনবমীতে একই নিয়ম হওয়া উচিত।