বাংলার ভাবী মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে আরএসএসএর পছন্দের কৃপাকরানন্দ মুখ খুললেন রাজনীতি নিয়ে! কী জানালেন
বাংলার রাজনীতির সঙ্গে সেভাবে কোনও সন্ন্যাসীর নাম সরাসরি ভাবে জড়ায়নি। কিন্তু ইতিহাসকে পাল্টে এই প্রথম কোনও দিব্যকান্তি সন্ন্যাসীর নাম বাংলার অগ্নিগর্ভ রাজনীতির ময়দানে উঠে আসতে শুরু করেছে। একদিকে, বিজেপির অন্দরে গোষ্ঠীকোন্দল যখন মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে, তখন আরএসএস বাংলার মুখ্যমন্ত্রীপ সিংহাসনে কাদের দেখতে চাইছে, তা নিয়ে পছন্দের নামের তালিকা প্রস্তুত রেখেছে। সেই নিয়ে জল্পনার পাহাড় বহুদিন ধরেই ছিল। আর যিনি এই সমস্ত জল্পনার কেন্দ্রীয় চরিত্র, রামকৃষ্ণমিশনের সেই মহান সন্ন্যাসী কৃপাকরানন্দ মহারাজ বৃহস্পতিবার এক ফেসবুক লাইভে রাজনীতি নিয়ে মুখ খুললেন।
কৃপাকরানন্দ ও রহস্য
মাধ্যমিকে পঞ্চম স্থান অধিকারী দেবতোষ চক্রবর্তী। যিনি চিরকালই সহপাঠিদের কাছে অত্যন্ত প্রিয় বন্ধু ছিলেন। উচ্চমাধ্যমিকেও দেবতোষের স্থান ছিল প্রথম দশে। হয়েছিলেন সপ্তম। এরপর চিকিৎসা শাস্ত্র , তারপর আমেরিকায় পাাড়ি। এরপরবর্তীকালে তাঁরে জীবনের সঙ্গে এক অমোঘ রহস্য বহুকাল জড়িয়ে ছিল।
এরপর..?
এর পরের কাহিনী অনেকেই হয়োতে ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে জানেন। উচ্চমাধ্যমিকের পর দেবতোষ চক্রবর্তী এনআরএস এর মেডিক্যালের পড়াশোনা করেন। এরপর আমেরিকায় পাড়ি দেন। কিন্তু তারপর আর তাঁর খোঁজ পাননি বন্ধুরা। এর কয়েক বছর পর বেলুড় মঠে স্বমী কৃপাকরানন্দ নামের এক সন্ন্যাসির আবির্ভাব হয়। যাঁকে এক জনৈক একজন দেখতেই চিনতে পারেন নিজের সহপাঠী দেবতোষ বলে। তাবড় হার্টস্পেশ্যালিস্ট সেই দেবতোষ চক্রবর্তীই রামকৃষ্ণ মঠরে কৃপাকরানন্দজি। অনেকের কাছেই তিনি দেবতোষ মহারাজ বলে পরিচিত।
'মুখ উজ্জ্বল করা অত সহজ কাজ নয়'
রামকৃষ্ণ
মিশনের
এক
সভায়
বক্তব্য
রাখতে
গিয়ে
কৃপাকরানন্দ
বলেছিলেন,
'মুখ
উজ্জ্বল
করা
অত
সহজ
নয়'।
অনেক
সন্তানই
বিশাল
লেখাপড়া
করে
বিদেশে
পাড়ি
দেন।
তারপর
নিজের
স্বার্থের
খেয়ালে
মেতে
ওঠেন,
আর
মেধাবী
পড়ুয়ার
সেই
বাবা
মায়েরা
দেশে
একা
হয়ে
যান।
এই
পন্থাকে
তিনি
'মুখ
উজ্জ্বল
করার'
নাম
দিতে
চাননি।
একে
তিনি
স্বার্থ
চিন্তার
নামান্তর
বলে
মনে
করেন।
স্বার্থ,
সন্ন্যাস
ও
রাজনৈতিক
ভাবধারা
নিয়ে
এবারও
মুখ
খুললেন
কৃপাকরানন্দ।
রাজনীতিতে কি আসছেন কৃপাকরানন্দ?
এক ফেসবুক লাইভে সরাসরি কৃপাকরানন্দ মহারাজকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে , অদূর ভবিষ্যতে কি রাজনীতিতে তাঁদের মতো রামকৃষ্ণমিশনের মহারাজকে রাজনীতিতে পাওয়া যাাবে? জবাবে কৃপাকরানন্দ বলেন 'যাঁরা আমারা সন্ন্যাসী বা সন্ন্যাসী হওয়ার চেষ্টা করছি, তাঁরা আমরা সবাই স্বামীজির দাসানুসাদ। এটা ব্যক্তিগত ভাবনা আমার। .. স্বামীজিকে মানতে আমাদের বাধ্য করতে হয় না, স্বামীজিকে মানতে পারার জন্য আমরা নিজেকে যোগ্য করে তুলি.. মানাটা কঠিন, কিন্তু যোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা আমরা করে চলি..। '
রাজনীতি ও কৃপাকরানন্দ
কলেজ জীবনে পড়াকালীন বহু স্বাধীনতা সংগ্রামীর এককালে ইন্টারভিউ করেন তৎকালীন দেবতোষ চক্রবর্তী। সেই প্রসঙ্গ তুলে তিনি রাজনীতি নিয়ে নিজের অবস্থানের ব্যাখ্যা করেন। 'স্বামীজি কিন্তু রন্ধ্রে রন্ধ্রে এই জাতীয়তবাদের ইতিহাসের প্রাণপুরুষ। সনাতন শিক্ষায়, ধর্ম, সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতিতে কোনও ভেদ নেই। ...ধর্মের লোক আর রাজনীতির লোক বলে বিভেদ করা কখনও সম্ভব নয়। '
'রাজনীতি সরাসরি..' কী বললেন সন্ন্যাসী?
'রাজনীতি হয়তো আমরা কোনও দিনও করব না। হয়তো কেন কোনও দিনই করব না। কিন্তু রাজনীতির নীতি বা ধর্মনীতির নীতি কোনও কিছুই কি মানুষ থেকে আলাদা? মানুষের কল্যাণ ভিন্ন অন্য কোনও চিন্তা কি এর মধ্যে থাকবে? যদি না থাকে, তাহলে তা দুর্নীতি। '