বিজেপির হয়ে সংঘ প্রচারকরা জয়ের ভিত গড়ছেন, ‘আন্ডার কারেন্ট’ একুশের ভোটে
বিজেপির হয়ে সংঘ প্রচারকরা জয়ের ভিত গড়ছেন, ‘আন্ডার কারেন্ট’ একুশের ভোটে
২০২১-কে পাখির চোখ করে এগোচ্ছে বিজেপি। রাজ্যে ফের পরিবর্তনের আওয়াজ তুলেছেন মুকুল রায়-দিলীপ ঘোষরা। এবার তাঁদের সঙ্গে গলা মিলিয়েছেন তৃণমূলের আর এক স্তম্ভ শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি শুধু তৃণমূলকে ভেঙেই বাংলায় ক্ষমতা পরিবর্তন করতে চাইছে। তবে তাঁদের এই লক্ষ্যপূরণে আন্ডার কারেন্টের কাজ করছে আরএসএস।
বাম-কংগ্রেসকে সরিয়ে প্রধান বিরোধী বিজেপি
মাত্র দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে রাজ্যে উত্থান ঘটেছে বিজেপির। তৃণমূলের আমলে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস ও সিপিএমের ব্যর্থতায় যে শূন্যস্থান তৈরি হয়েছিল তা ভরাট করে দিয়েছে বিজেপি। ২০১৭ থেকে মাত্র ২০২০- মাত্র তিন বছরেই বাম-কংগ্রেসকে সরিয়ে প্রধান বিরোধী হয়ে উঠেছ গেরুয়া পার্টি।
সাফল্য আনতে বুথ কমিটি গড়তে হবে বিজেপিকে
২০১৯-এর সাফল্যের উপর ভর করেই ২০২১-এ বিজেপি হয়ে উঠেছে শাসক তৃণমূলের প্রধান চ্যালেঞ্জার। এবার তৃণমূলকে ভেঙেই বাকি কাজ হাসিল করতে চায় বিজেপি। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কিন্তু প্রথম থেকেই বলে চলেছে, একুশে সাফল্য আনতে বুথ কমিটি গড়তে হবে। বুথস্তরে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। তা না হলে সাফল্যের শিখরে পৌঁছনো যাবে না।
৭৮ হাজার বুথের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশে বুথ কমিটি
কিন্তু একুশের ভোট দুয়ারে কড়া নাড়লে বিজেপি আদৌ বুথস্তরে সংগঠন বাড়াতে পেরেছে কি না তা নিয়ে যেমন সন্দেহ রয়েছে, ১০০ শতাংশ বুথ কমিটি গঠন নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে। ২০২০ সাল পর্যন্ত বিজেপি ১০০ শতাংশ বুথ কমিটি গঠন করতে পারেনি। ৭৮ হাজার বুথের প্রায় এক-তৃতীয়াংশে বুথ কমিটি ছিল না।
৭৮ হাজার বুথ কমিটির সভাপতির বাড়িতে নেমপ্লেট
এরই মধ্যে বিজেপি টার্গেট নিয়েছে ৭৮ হাজার বুথেই পৌঁছনোর। ৭৮ হাজার বুথ কমিটির সভাপতির বাড়িতে নেমপ্লেট বসানো হবে। এই অভিযানে ৭৮ হাজার বুথ কমিটিও গঠন করে ফেলতে চাইছে বিজেপি। কিন্তু ওই এক-তৃতীয়াংশ বুথ কতখানি শক্তিশালী হবে বিজেপির সংগঠন, তার উপর নির্ভর করবে দলের সাফল্য।
বিজেপির পক্ষেই ভোট সুইং হবে একুশের বিধানসভায়
সম্প্রতি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা মন্তব্য করেছেন, বিজেপি জিতবে বাংলায়। বাংলার মানুষ বিজেপিকে চাইছে। তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে বিদায় দিতে মনস্থ করে ফেলেছে। বিজেপির পক্ষেই তাই ভোট সুইং হবে। ফলে তৃণমূল বুঝতেই পারবে না তাঁরা কীভাবে হারতে চলেছে। বিজেপি সভাপতির এই কথাও তাৎপর্যপূর্ণ।
বিজেপির হয়ে সংঘ প্রচারকরা জয়ের ভিত গড়ছেন
বিজেপির পক্ষে আরও একটা মোক্ষম অস্ত্র রয়েছে। তা হল- বিজেপির মাদার সংগঠন আরএসএসের গোপন-প্রচার। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরেই বাংলার প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে আন্ডার কারেন্ট একটা থাকছেই বিজেপির পক্ষে। বিজেপির হয়ে সংঘ প্রচারকরা জয়ের ভিত গড়ে দিতে সিদ্ধহস্ত। বিশেষ করে জেলায় এই ধরনের প্রচার এগিয়ে রাখছে বিজেপিকে।
'বিবেকের ডাক'-র পাল্টা 'বিবেক জয়ন্তী', স্বামী বিবেকান্দের জন্মদিনে শুভেন্দুকে টক্কর দেবেন অভিষেক