এনআরসি-র পরে এবার বাংলায় সিএবি চালুর দাবিতে সরব আরএসএস
পশ্চিমবঙ্গের আরএসএস শাখার সচিব জিষ্ণু বসু সংবাদসংস্থা এএনআইয়ে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অসমের মতোই বাংলায় এনআরসি-র পাশাপাশি নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল বা সিএবি চালুর দাবি জানিয়েছেন।
অসমে জাতীয় নাগরিকপঞ্জী নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হয়েছে। সেই বিতর্কের ঢেউ এসে পড়েছে বাংলাতেও। বিজেপির মতো দল বাংলায় এনআরসি চালুর দাবিতে সরব হয়েছে। প্রতিবাদে মুখর হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে এই বিতর্ক বোধহয় সহজে থামার নয়। পশ্চিমবঙ্গের আরএসএস শাখার সচিব জিষ্ণু বসু সংবাদসংস্থা এএনআইয়ে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অসমের মতোই বাংলায় এনআরসি-র পাশাপাশি নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল বা সিএবি চালুর দাবি জানিয়েছেন।
জিষ্ণুর মতে, বাঙালি হিন্দুদের বাঁচাতে পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি চালু ছাড়া উপায় নেই। বাংলাদেশেও অত্যাচারিত হিন্দুরা এদেশে আসছেন। সেই বিল তাদেরও বাঁচাবে বলে তিনি মনে করছেন।
অসমে মোট ৩.২৯ কোটি মানুষের মধ্যে ২.৮৯ কোটি মানুষের নাম নাগরিক তালিকায় উঠেছে। ফলে বাদ গিয়েছেন ৪০ লক্ষের বেশি মানুষ।
যে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের কথা জিষ্ণু বসু বলছেন তা ২০১৬ সালের জুলাই মাসে লোকসভায় পেশ হয়। মানবিকতার খাতিরে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী ও অন্য দেশ থেকে বিতাড়িত হয়ে এদেশে আসা মানুষদের এই বিল মেনে নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে এখনও তা পাশ হয়নি।
বিলের বয়ান নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। বিশেষ করে অসমে এই বিল বলবৎ করতে গেলে উল্টো বিপদ হতে পারে। বিজেপির সঙ্গী অসম গণ পরিষদ এই বিলের বিরোধিতা করেছে। তবে বাংলার আরএসএসের কর্মকর্তা জিষ্ণু বসু মনে করছেন বাংলার ক্ষেত্রে বিলটি গুরুত্বপূর্ণ। আরএসএস বাংলা লাগোয়া অসম-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় এনআরসি নিয়ে জোর প্রচারে নামছে বলেও জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, বাংলায় তৃণমূল সরকার এনআরসি বিরোধিতায় সর্বাগ্রে রয়েছেন। এই ধরনের নিয়ম ধর্মী বিভেদ তৈরি করছে বলে বিরোধীদের অনেকে মনে করছেন। কংগ্রেস, বাম, তৃণমূল সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিজেপির এনআরসি বিলের বিরোধিতায় সরব হয়েছে।