'ইয়াসে' রাজ্যের ক্ষতি ২১ হাজার কোটি, কেন্দ্রীয় দলকে হিসেব দিল নবান্ন
ইয়াস (yaas) বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে আসা কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলকে রাজ্যের ক্ষয়ক্ষতির হিসেব তুলে দিল নবান্ন (nabanna)। দুদিন ধরে রাজ্যের ইয়াস বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করে রাজ্যে আসা কেন্দ্রীয় দল। পরে তাঁরা নবান্নে বৈঠকে বল
ইয়াস (yaas) বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে আসা কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলকে রাজ্যের ক্ষয়ক্ষতির হিসেব তুলে দিল নবান্ন (nabanna)। দুদিন ধরে রাজ্যের ইয়াস বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করে রাজ্যে আসা কেন্দ্রীয় দল। পরে তাঁরা নবান্নে বৈঠকে বলেছিলেন রাজ্যের আধিকারিকদের সঙ্গে। সেখানে প্রাথমিকভাবে ২১ হাজার কোটি ক্ষতির (damage) হিসেব তুলে দেওয়া হয়।
মুখ্যমন্ত্রী দিয়েছিলেন ২০ হাজার কোটির ক্ষতির হিসেব
২৮ মে প্রধানমন্ত্রী কলাইকুন্ডায় ইয়াস নিয়ে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী এবং তৎকালীন মুখ্যসচিবের না থাকা নিয়ে চরম বিতর্ক তৈরি হয়। তবে মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে রাজ্যে ক্ষয়ক্ষতির একটা হিসেব তুলে দিয়েছিলেন। তার পরিমাণ ছিল প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার মতো। এবার তা বেড়ে হয়েছে ২১ হাজার কোটি।
চূড়ান্ত রিপোর্ট দেয়নি রাজ্য
বুধবার বিকেলে নবান্নে বৈঠকে বসেছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। সেখানে রাজ্য সরকারের তরফে ক্ষয়ক্ষতির একটি প্রাথমিক রিপোর্ট তুলে দেওয়া হয়। প্রতিটি ক্ষেত্র ধরেই এই হিসেব দেওয়া হয়েছে। কোন ক্ষেত্রে কত ক্ষতি হয়েছে, তা এখনও চূড়ান্ত নয়। তবে সপ্তাহ খানেকের মধ্যে সেই রিপোর্ট কেন্দ্রের কাছে পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে এখনও বেশ কিছু এলাকা জলের তলায়। তাই জল না নামলে বোঝা যাচ্ছেন না প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির হিসেবটা। এব্যাপারে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে চূড়ান্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরেই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের সদস্যরা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেবে। তারপরেই ঠিক হবে রাজ্য সরকার কত টাকা পেতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়ের জন্য।
রবিবার রাজ্যে আসে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল
প্রসঙ্গত রবিবার রাতে রাজ্যে আসে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলটি। এই দলের নেতৃত্বে ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের যুগ্মসচিব এসকে শাহি। এই দলে কেন্দ্রের কৃষি ও কৃষক উন্নয়নেপ ডিরেক্টর, রোডস অ্যান্ড হাইওয়ে মন্ত্রকের আধিকারিক, গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক, বিদ্যুৎ মন্ত্রক এবং মৎস্য মন্ত্রকের আধিকারিরকা ছিলেন। প্রথমে তাঁরা দুটি দলে ভাগ হয়ে পাথরপ্রতিমা, গোসাবা এবং পূর্ব মেদিনীপুর পরিদর্শন করেন। তাঁরা দিঘা, মন্দারমনি এবং গদখালিতেও গিয়েছিলেন।
আবারও ক্ষতির আশঙ্কা
অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আবারও নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার জেরে এবং ভরা কোটালের জন্য আবারও ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছে রাজ্য সরকার। শুধু ১১ জুনই নয়, ২৬ জুন কোটালের জল ঢুকবে বলে সতর্ক করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে।
কেন পেট্রোল ও ডিজেলের মূল্য আকাশ ছোঁয়া, সামনে এল বিস্তারিত তথ্য