দুটি ঘুমপাড়ানি গুলিতেই কাত গোসাবায় ঢুকে পড়া রয়্যাল বেঙ্গল, বাঘটিকে ছাড়া হবে জঙ্গলে
কুলতলির বাঘটিকে বন্দি করতে নাকানিচোবানি খেতে হয়েছিল বনকর্মীদের। গোসাবায় লোকালয়ে ঢুকে পড়া বাঘটিকে বন্দি করতে অবশ্য তেমন কোনও বেগ পেতে হল না। মাত্র দুটি ঘুমপাড়ানি গুলিতেই কাত বাঘমশাই।
কুলতলির বাঘটিকে বন্দি করতে নাকানিচোবানি খেতে হয়েছিল বনকর্মীদের। গোসাবায় লোকালয়ে ঢুকে পড়া বাঘটিকে বন্দি করতে অবশ্য তেমন কোনও বেগ পেতে হল না। মাত্র দুটি ঘুমপাড়ানি গুলিতেই কাত বাঘমশাই। কুমিরমারি দ্বীপে ঢুকে পড়া বাঘটিকে খাঁচায় বন্দি করা হয়েছে। স্বাস্থ্যপরীক্ষা করে তাকে জঙ্গলে ছাড়ার প্রস্তুতি চলছে।
ক'দিন ধরেই সুন্দরবন এলাকায় লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। কুলতলির বাঘবন্দি হওয়ার দুদিনের মধ্যেই ফের একটি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার গোসাবায় লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। তারপর তা দাপিয়ে বেড়াতে থাকে। বনকর্মীর উপর হামলাও চালায়। শনিবার রাতে তাকে দেখা যায় কুমিরমারী দ্বীপে।
কুমিরমারী দ্বীপে বনকর্মী শ্যামল হালদারের বাড়ির কাছে বাঘটিকে দেখা যায়। সেই খবর পাওয়ামাত্রাই রাতেই ব্যাঘ্র প্রকল্পের বাগনা রেঞ্জের বনকর্মীরা যান এলাকায়। কয়েক ঘম্টার চেষ্টায় বাঘটিকে নাগালের মধ্যে পান তাঁরা। তারপরই ঘুমপাড়ানি গুলি চালানো হয়। পর পর দুটি গুলি চলে বাঘটিকে লক্ষ্য করে, তাতেই কাত বাঘমামা।
কুমিরমারী দ্বীপে নিস্তেজ হয়ে পড়া রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারটিকে খাঁচায় বন্দি করে নিয়ে আসা বন দফতরে। বাঘটির স্বাস্থ্যপরীক্ষা করে এদিনই ছেড়ে দেওয়া হবে জঙ্গলে। সুন্দরবন ব্যাঘ্রপ্রকল্পের ক্ষেত্র অধিকর্তা ও সমীক্ষক তাপস দাস আশ্বস্ত করেছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের। তিনি জানান, বাঘটিকে বন্দি করা হয়েছে। রবিবারই তাকে জঙ্গলে ছেড়ে আসা হবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শুক্রবার ঝিলার জঙ্গল থেকে একটি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার ঢুকে পড়ে গোসাবায়। গোসাবার লাহিড়ীপুর পঞ্চায়েতের চরঘেরিতে বাঘটিকে দেখা যায়। আতঙ্কে ভুগতে শুরু করে এলাকার মানুষজন। রাতের ঘুম উড়ে যায় তাদের। তা দাপিয়ে বেড়াতে থাকে একটা পর একটা এলাকায়। শনিবার তাকে বাদাবন থেকে আরও এগিয়ে সাতজেলিয়ার লোকালয়ে ঢুকে পড়ে বাঘটিকে।
বাঘটিকে ধরতে তৎপর বনকর্মীরা ওই এলাকায় ফাঁদ পাতে। জাল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয় এলাকা। বনকর্মীরা বাঘবন্দি করতে গিয়ে জীবন সংশয়ে পড়েন। এক বনকর্মী গুরুতর জখম হন। এই অবস্থায় হাল ছাড়েননি তাঁরা। বাঘটিকে বন্দি করতে তাঁরা উঠে পড়ে লাগেন। শেষপর্যন্ত শনিবার রাতেই বাঘটিকে বন্দি করতে সফল হন তাঁরা।
এর আগে কুলতলিতে বাঘটি পাঁচদিন ধরে বেগ দেয় বনকর্মীদের। খাঁচায় ছাগলের টোপ দিয়েও কোনও কাজ হয়নি। শেষে সই ঘুমপাড়ানি গুলিতেই কাবু হয় বাঘটি। পাঁচ দিনের অপেক্ষার অবসান হয়। ডোঙ্গাজোড়ার জঙ্গলে বাঘটিকে খাঁচাবন্দি করে পরদিন ছেড়ে দেওয়া সুন্দরবনে জঙ্গলে।