মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন রোশন গিরি, লোকসভার আগে পাহাড়ে নয়া সমীকরণের জল্পনা
গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার রাশ এখন বিনয় তামাংয়ের হাতে। বিমল গুরুং বা রোশন গিরিরা এখনও অজ্ঞাতবাসে। আর লোকসভা নির্বাচন দোরগোড়ায় কড়া নাড়তে শুরু করতেই গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁদের সমর্থন তৃণমূলের দিকেই। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা রোশন গিরির চিঠি উসকে দিল জল্পনা।
অজ্ঞাতবাস থেকে রোশনের চিঠি
এখন প্রশ্ন উঠে পড়েছে, ভোটের মুখে কি সুর নরম করে সন্ধির বার্তা দিতে চাইছেন গুরুংপন্থীরা। অজ্ঞাতবাস থেকে রোশন চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রীকে। সেই চিঠিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে তিনি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে পাহাড়বাসীর দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হল বলে চিঠিতে উল্লেখ করেন তিনি।

মুখ্যমন্ত্রীকে আন্তরিক সমর্থন
সম্প্রতি পাহাড়ে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়, ডুয়ার্স ও তরাই নিয়ে পৃথক প্রশাসনিক ইউনিট গঠনের কথা ঘোষণা করেন। তার পরিপ্রেক্ষিতেই রোশন লেখেন, মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগের প্রতি আমার আন্তরিক সমর্থন রয়েছে। তাই এই চিঠি লিখছি। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই উদ্যোগ পাহাড়ের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ করবে।

আলোচনা করতে আগ্রহী রোশন
শুধু ধন্যবাদ দিয়েই অবশ্য তিনি ক্ষান্ত হননি। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার আগ্রহও প্রকাশ করেন। লেখেন- এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর আলোচনা করতে আগ্রহী আমি। তাঁর এই বার্তার মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে অনেক কিছু- এমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এ ঘটনা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ বলেও ধারণা বিশেষজ্ঞদের।

তবে কি রাজনৈতিক অবস্থান বদল?
vএই চিঠির পরই প্রশ্ন উঠে পড়েছে, তবে কি গুরুং-রোশনরা তাঁদের রাজনৈতিক অবস্থান বদল করতে চাইছেন। লোকসভায় আগে ফের মূল স্রোতে ফিরতে নতুন করে আলোচনার পথ প্রশস্ত করতে উদ্যোগী হচ্ছে। রোশন গিরির এই লিখিত বিবৃতির পিছনে এমনই কারণ থাকতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।