নিগৃহীতা আদিবাসী মহিলাদের দেখা হল না! রায়গঞ্জে প্রবেশে পুলিশি-বাধায় চটলেন রূপা
বসিরহাটে ঢুকতেও বাধা পেয়েছিলেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায় ও লকেট চট্টোপাধ্যায়-রা। তাঁরা পুলিশের নিষেধ না মেনে এলাকায় ঢোকার চেষ্টা করলে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। এক্ষেত্রে অবশ্য রূপাদেবী পুলিশের নিষেধাজ্ঞা অম
আবারও বিজেপি সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের পথ আটকালো পুলিশ। মঙ্গলবার তাঁকে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের আদিবাসী এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হল না। শিলিগুড়ি মোড়েই তাঁকে আটকে দেয় পুলিশ। পুলিশ-প্রশাসনের তরফে সাফ জানানো হয়- 'এলাকা এখন শান্ত রয়েছে। এখনই ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তেজনা বাড়াবেন না। দয়া করে ফিরে যান।'
বিজেপি সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায় রায়গঞ্জে নিগৃহীত আদিবাসী মহিলাদের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু তাঁকে আদিবাসী পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হল না। পুলিশের বাধা পেয়ে প্রথমে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে তর্ক জুড়ে দেন রূপাদেবী। পরে অবশ্য তিনি ফিরে যান। তবে ফেরার আগে থানায় অভিযোগ করে যান রূপাদেবী।
পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, আদিবাসী মহিলাদের নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্তদের ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের বিক্ষোভও স্তিমিত হয়েছে। এই অবস্থায় রাজনৈতিক নেতারা ঘটনাস্থলে গেলে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে এলাকা। সেই আশঙ্কা থেকেই পথ আটকানো হয় রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের।
রূপাদেবী জানান, আমরা এলাকা উত্তপ্ত করতে চাই না। তেমন কোনও পরিকল্পনাও আমাদের নেই। আমরা শুধু চেয়েছিলাম আদিবাসী মহিলাদের পাশে দাঁড়াতে। তাঁদের দুঃখ ভাগ করে নিতে। কিন্তু তৃণমূল সরকারের পুলিশ প্রতিহিংসার রাজনীতি করে চলেছে। পরিকল্পনা করে আমাদের ঢুকতে দেওয়া হল না এলাকায়। বিজেপিকে আটকাতেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই পন্থা নেওয়া হয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ। আর পুলিশ পরিণত হয়েছে তৃণমূলের দলদাসে।
এদিন পুলিশ রূপাদেবীর পথ আটকালে বিজেপি কর্মীরা বাধা দেন। পুলিশ ও বিজেপি কর্মীদের মধ্য ধস্তাধস্তি বেধে যায়। এর আগে বসিরহাটে ঢুকতেও বাধা পেয়েছিলেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায় ও লকেট চট্টোপাধ্যায়-রা। তাঁরা পুলিশের নিষেধ না মেনে এলাকায় ঢোকার চেষ্টা করলে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। এক্ষেত্রে অবশ্য রূপাদেবী পুলিশের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রবেশের চেষ্টা করেননি।
উল্লেখ্য, ৯ জুলাই রায়গঞ্জ কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ডের বিশ্রামাগার থেকে এক শিক্ষিকা-সহ চার আদিবাসীকে তুলে নিয়ে গিয়ে তাঁদের উপর যৌন নিপীড়ন চালায়। নিগৃহীতাদের মধ্যে দুই নাবালিকা ছিল। এর পরদিনই আদিবাসী সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে বিশাল মিছিল করে তাণ্ডব চালানো হয় দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবিতে। ভাঙচুর হয় দোকানঘর, শ্রমিক সংগঠনের অফিস, অগ্নিসংযোগ করা হয় এলাকায়। তারপর পুলিশ এই ঘটনায় সাতজনকে গ্রেফতার করে।