প্রয়াত হলেন রণেন মুখোপাধ্যায়
স্বাধীনতা সংগ্রামী তথা সাংবাদিক রণেন মুখোপাধ্যায় 'কৃত্তিবাস ওঝা' ছদ্মনামে অনেকগুলি বই লিখেছেন। সিংহভাগই বাংলাদেশ সম্পর্কে। 'আমি মুজিব বলছি' তাঁর বিখ্যাত বই। রণেনবাবু প্রয়াণে তাই গভীর শোক ব্যক্ত করেছেন বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের কন্যা তথা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
স্কুলে পড়ার সময় মহাত্মা গান্ধীর সংস্পর্শে এসেছিলেন রণেনবাবু। ১৯৪৬ সালে তিনি ব্রিটিশ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন। স্বাধীনতার পর তিনি যোগ দেন ফরওয়ার্ড ব্লকে। ১৯৫৯ সালে পশ্চিমবঙ্গে যে খাদ্য আন্দোলন হয়েছিল, তাতে সক্রিয় ভূমিকা নেন রণেনবাবু। ফরওয়ার্ড ব্লকের মুখপত্র 'লোকসেবক' থেকে তাঁর সাংবাদিক জীবন শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে তিনি কাজ করেছেন 'লোকমত', 'গণবার্তা', 'দৈনিক বসুমতী', 'ভারতকথা', 'সত্যযুগ', 'বর্তমান' ইত্যাদি সংবাদপত্রে। 'দৈনিক বসুমতী' কাগজে তিনি চিফ রিপোর্টারও ছিলেন।
মূলত জীবনীমূলক গ্রন্থ লেখার দিকে রণেনবাবুর ঝোঁক ছিল বেশি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ছাড়াও বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসু, ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা হেমন্ত বসু, সিপিএম নেতা প্রমোদ দাশগুপ্তকে নিয়ে বই লিখেছেন। ইন্ডিয়ান জার্নালিস্টস ইউনিয়ন বা আইইউজে-র অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তিনি।
রণেন মুখোপাধ্যায়ের মরদেহ ফরওয়ার্ড ব্লক রাজ্য কমিটির অফিসে নিয়ে যাওয়া হলে শেষ শ্রদ্ধা জানান দলের রাজ্য সম্পাদক অশোক ঘোষ। পরে কলকাতা প্রেস ক্লাবে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান সিপিএম নেতা বিমান বসু ও সূর্যকান্ত মিশ্র। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফ থেকেও আসে শোকবার্তা। রণেনবাবু মরণোত্তর দেহদান করেছিলেন। ফলে তাঁর মরদেহ পাঠিয়ে দেওয়া হবে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।