মুনমুন ও তাঁর কন্যাযুগলকে ধুলোর আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে 'সড়ক স্নান' তৃষ্ণার্ত বাঁকুড়ায়
মঙ্গলবার গ্রামের টানা ৩ কিলোমিটার রাস্তা ধোয়ানো হল। নেতৃত্বে স্থানীয় পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ। লক্ষ্য মুনমুন সেন ও তাঁর দুই কন্যা রিয়া ও রাইমাকে ধুলোর আক্রমণ থেকে রক্ষা করা। রাস্তার ধারে কলপাড়ে লম্বা লাইন। জল নেওয়ার জো নেই, সব জলই যাচ্ছে তারকা প্রার্থী ও তাঁর দুই 'ননীর পুতুলের' নিরাপত্তায়।
গ্রীষ্মকালে জলের চাহিদা স্বাভাবিক কারণেই বেড়ে যায়। বাঁকুড়ায় তো প্রতিবছর গ্রীষ্মকালে খাবার জলের সমস্যা থেকেই যায়। এই জেলার এমন কিছু জায়গা রয়েছে যেখানে গৃহস্থালির কাজের জন্য নল দিয়ে জল যায় না। যারা ভাগ্যবতী তাঁরা কলপাড়ে লাইনে কয়েক মিনিট দাঁড়িয়ে জল নিতে পারেন। কিন্তু বাকিদের জন্য পুকুর বা কুয়োই জলের উৎস। এমন এক জেলায় জল নিয়ে এমন বিলাসিতা!
এদিন
বাঁকুড়ার
এই
অখ্যাত
গ্রামে
দুই
মেয়েকে
নিয়ে
রোড
শো
করেন
মুনমুন।
যদিও
স্থানীয়
নেতৃত্বের
এত
চেষ্টার
পরও
ধুলোর
আক্রমণ
থেকে
বাঁচানো
গেল
না
মুনমুন
সেনের
ছোট
মেয়ে
রিয়াকে।
গ্রামের
পাকা
মাটির
ধুলোও
যে
তাঁকে
অস্বস্তিতে
ফেলছে
তা
রিয়ার
চোখে
মুখে
স্পষ্ট
ছিল।
ধুলোর
চোটে
চোখ
খুলে
বেশিক্ষণ
তাকাতেই
পারছিলেন
না
রিয়া।
তারকাদের
চোখের
সামনে
দেখার
আশায়
যাঁরা
রাস্তার
ধারে
দাঁড়িয়েছিলেন
তারা
রিয়াকে
নয়
বারংবার
চোখ
পিটপিট
করতে
দেখলেন
নয়তো
চোখ
রগড়াতে।
ভিজে
প্যাঁচপ্যাচে
রাস্তা
দিয়ে
হুড
খোলা
জিপসি
গাড়িটি
তখন
ধীর
গতিতে
এগিয়ে
যাচ্ছে
।
হিন্দুস্তান টাইমস-এ প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এহেন দৃশ্য দেখে হতচকিত এলাকার ৯ বারের সাংসদ বাসুদেব আচারিয়া। বললেন, গোটা বিষয়টিতে আমি হতবাক। য়েখানে মানুষকে কষ্ট করে জল পেতে হয় সেখানে ধুলো তাড়াতে রাস্তা ধুচ্ছে স্থানীয় নেতৃত্ব? এ তো অবাক কাণ্ড। আমিও এই রাস্তা দিয়েই প্রত্যেকদিন প্রচারে যাই। বাড়ি যখন ফিরি লাল মাটি আমার সারা গায়ে লেগে তাকে। স্নান করে তবে পরিস্কার হই। এর পরই তৃণমূল প্রার্থীকে নিয়ে সিপিএমের এই দুদে নেতার কটাক্ষ, যে এলাকার প্রার্থী তিনি সেই এলাকার ধুলো যুঝতে পারছেন না তিনি কী করে এলাকার মানুষের প্রতিনিধিত্ব করবেন?
এই সুযোগ ছাড়েনি বিজেপিও। কলকাতায় বসে বিজেপির রাহুল সিনহার মন্তব্য মানুষই বিচার করুক তাঁরা এই ধরণের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে চান কিনা। যারা এলাকার পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারছেন না ভোট শেষ হলে তারা যে এমুখোও হবে না তা তো বোঝাই যাচ্ছে।
তারকা প্রার্থীর রোড শো-এ ভিড় ঠেকাতে ১০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। চারিদিকে ভিড়ে ভিড়। বাড়ির আনাচে কানাচে উপচে পড়ছে ভিড়। মুনমুনদের জিপসির পিছনেই আর একটি গাড়িতে ব্যান্ডবাদকদের বাদ্যে তখন সুর উঠছে 'এই পথ যদি না শেষ হয়...'