এ কেমন বিরোধী ঐক্য? মমতার অস্বস্তি বাড়িয়ে এবার বাংলায় তেজস্বী 'হানা'!
বিহারের মতো পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনেও মহাজোটের পক্ষে সওয়াল করলেন তেজস্বী যাদব। বলেন, 'বিহারে যেমন আমাদের সিপিআই(এম) ও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট রয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের কার্যকর্তাদের সঙ্গেও আমাদের কর্মীদের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। ২০২১-এর নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে জোট করে লড়তে চাই। বাংলার মানুষও নিশ্চয় এখানে জোটকে সমর্থন করবেন।'
রাজ্য রাজনীতিতে জোর জল্পনা
আর তেজস্বীর এই উক্তিতেই জল্পনা শুরু হয়েছে, তাহলে কী বাংলার নির্বাচনী ময়দানে নামার জন্যে তৈরি হচ্ছে তেজস্বী যাদবের আরজেডিও।তবে বাংলায় লড়তে হলে তেজস্বীকে বাছতে হবে বাম-কংগ্রেস জোট অথবা মমতাকে। এদিকে রাজ্যে যে বিহারী হিন্দি ভাষীদের ভোট একটি বড় ফ্যাক্টর, তা অজানা নেই কারোর। এদিকে কয়েকদিন আগেই ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা জানায় তারা রাজ্যের ৩০টি আশনে প্রার্থী দেবে।
অস্বস্তিতে পড়বেন মমতা? নাকি ভোট কাটবে বিজেপির?
তৃণমূল কংগ্রেস ইতিমধ্যেই সংখ্যালঘু ভোট হারানোর ভয়ে রয়েছে। এই ক্ষেত্রে আসাদউদ্দিন ওয়েইসির দল মিম বড় ফ্যাক্টর হতে পারে। এবার এই নির্বাচনে প্রার্থী দিতে পারে লালু প্রসাদ যাদবের দল আরজেডি। তবে তা জোট করেই। আরজেডির নির্বাচনী ম্যানেজাররা তেমনই চাইছেন বলে খবর। আর এই আবহে তেজস্বীর এই উক্তি তাৎপর্যপূর্ণ। এদিকে রাজ্যে আরজেডি এলে বিজেপির ভোটও ভাগ হতে পারে বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের আকাংশের।
রাজ্যে আরজেডির ট্র্যাক রেকর্ড
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে আরজেডি ২০০০ সাল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে দুটি আসনে। এক, বড়বাজার (জোড়াসাঁকো)। দুই, খড়গপুর। ২০০৬ সালে বড়বাজার আসনটি জিতেওছিল আরজেডি। এদিকে এনডিএ জোটে থাকা বিহারে নীতীশের দল পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে ৭৫ টি আসনে প্রার্থী দিতে চলেছে বলে খবর।
বাংলায় আসছেন হেমন্ত সোরেনরাও
ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন জানিয়ে দিয়েছিলেন জঙ্গলমহল সহ একাধিক স্থানে প্রার্থঈ দেবেন তাঁরা। এমনকী জানুয়ারি মাসে হেমন্ত সোরেন এবং শিবু সোরেন রাজ্যে আসছেন জনসভা করতে। শুধুমাত্র প্রার্থী দিয়ে ক্ষান্ত থাকবেন না তাঁরা, পূর্ণশক্তি দিয়েই বাংলার নির্বাচন লড়বে। ফলে মিত্রশক্তি জেএমএম তৃণমূলের শত্রুতে পরিণত হতে পারে আসন্ন ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে। আদিবাসী ভোট নিয়ে তই চিন্তা বাড়ল মমতার।
বাংলায় আদিবাসীরা, দলিত শ্রেণির মানুষদের টার্গেট
হেমন্ত জানিয়েছেন, তাঁর দলের কিছু সদস্য ইতিমধ্যেই বাংলার কিছু এলাকায় গিয়েছেন। এবং একটি রিপোর্ট দিয়েছেন পার্টিকে। বাংলায় আদিবাসীরা, দলিত শ্রেণির মানুষেরা কেমন অবস্থায় আছেন, তাঁরা কী চাইছেন, তাঁরা কাকে চাইছেন- তা নিয়ে একটা রিপোর্ট তৈরি করেছেন পার্টি নেতারা। তা খতিয়ে দেখেই আদিবাসী এলাকাকে টার্গেট করেছেন জেএমএম সুপ্রিমো। মূলত, ঝাড়খণ্ডের সীমান্তবর্তী কেন্দ্রগুলিকে টার্গেট করেই এগোবেন হেমন্ত।