মালদহে নদী ভাঙন নিম্নমানের কাজ, প্রতিবাদ স্থানীয়দের
গঙ্গায় ভাঙ্গনে অব্যাহত মালদার কালিয়াচক ৩ নম্বর ব্লকের বিরণগর ১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। এই পরিস্থিতিতে ফারাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ ভাঙ্গন রোধের কাজ শুরু করেছে।
গঙ্গায় ভাঙ্গনে অব্যাহত মালদার কালিয়াচক ৩ নম্বর ব্লকের বিরণগর ১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। এই পরিস্থিতিতে ফারাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ ভাঙ্গন রোধের কাজ শুরু করেছে। কিন্তু গ্রামবাসীদের নিম্নমানের কাজের অভিযোগ তুলে নদী ভাঙ্গন রোধের কাজ বন্ধ করে দিল গ্রামবাসীরা। দাবি মতো সমাধান না হলে বন্ধ থাকবে কাজ, বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন গ্রামবাসী। ঘটনাস্থলে ফারাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ পৌঁছালে তাদেরকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় গ্রামবাসীরা।
মালদার কালিয়াচক ৩ ও ১ নম্বর ব্লকের গ্রাম পঞ্চায়েত অন্তর্গত দুর্গারামটোলা গ্রাম। আর সেখানেই গঙ্গা নদী খারাপ রূপ ধারণ করেছে । দিন কয়েক ধরেই লাগাতার চলছে ভাঙ্গন ।সেই ভাঙ্গনের ফলে ইতিমধ্যে নদী গর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে বাঁধের প্রায় একশো মিটার অংশ। ভাঙ্গন শুরু হয়েছে সংরক্ষিত এলাকায় , এই পরিস্থিতিতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ভাঙ্গন রোধের দিন কয়েক আগেই ভাঙ্গন রোধের কাজ শুরু করেছে ফারাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ। বস্তার বালি দিয়ে চেষ্টা করা হচ্ছে ভাঙ্গন । কয়েকটি বসত বাড়ি কাজ করা অংশ টুকু তলিয়ে গেছে।
পাকা কাজ করার দাবি তোলে গ্রামবাসীরা শনিবার সকাল থেকেই কাজ বন্ধ করে দেয়। এই ঘটনা জানতে পেরে ছুটে আসেন ফারাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষের জেনারেল ম্যানেজার শৈবাল ঘোষ সঙ্গে সঙ্গে ছুটে ঘটনাস্থলে পৌঁছান মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি চন্দনা সরকার , বৈষ্ণবনগর বিধায়ক স্বাধীন সরকার।তাদের ঘিরে গ্রামবাসীরা বিক্ষোপ দেখাতে থাকেন।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ কাজ করা হয়েছিলো তা তলিয়ে গেছে নদীতে। এই কাজ শুধু নাম মাত্র। তাতে ভাঙ্গন রোধ করা সম্ভব হবেনা। পাথর দিয়ে পাকা কাজ হলে ভাঙ্গন রোধ করা সম্ভব হবে।
মালদা সভাধিপতি চন্দনা তিনি বলেন, গ্রামবাসী কাজ বন্ধ করেছে তারা বলছেন স্থায়ি সমাধান করতে। ব্যারেজ কর্তৃপক্ষের কাছে কাজের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তারা কিছুই জানাচ্ছেন না, এই ঘটনা তিনি জেলাশাসকে জানাবেন বলে জানিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে বৈষ্ণবনগরের বিজেপি বিধায়ক স্বাধীন সরকার জানান,দিন কয়েক ধরে ভাঙ্গন দেখে আমরা বিষয়টি ফারাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, কাজ চলছিলো, কিন্তু গত রাতে সেই কাজের অংশ টুকুও তলিয়েছে। আজ গ্রামবাসীদের দাবি মতো কাজ হবে জল কমলেই জানিয়েছে ফারাক্কা ব্যারেজ আমরা চাই এই পরিস্থিতি যে ভাবেই সম্ভব এলাকা রক্ষা হোক।
ফারাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষের জেনারেল ম্যানেজার শৈবাল ঘোষ জানান,গ্রামবাসীদের যে দাবি মতো কাজ এই মুহূর্তে করা সম্ভব নয়। পাথর নিয়ে আসতে অনেকটাই সময় লেগে যাবে। তাই আমরা যুদ্ধকালীন কাজ শুরু করেছি। প্রকৃতির ওপর কারো জোর থাকে না।ভাঙ্গনে যে অংশ তলিয়েছে তাতে কারোর হাত নেই। আমরা চাই যে ভালো মতোই কাজ করতে সবার সহযোগিতা পেলে তাড়াতাড়ি কাজ শুরু করবো ।