সাময়িক বরখাস্ত রীতেশ এবং জয়প্রকাশ! সংবিধান মেনে ব্যবস্থা, বললেন সুকান্ত মজুমদার
বিজেপিতে বিদ্রোহ। গত কয়েকদিন ধরেই বিজেপিতে কার্যত বিদ্রোহ দেখাচ্ছিলেন জয়প্রকাশ মজুমদার। এমনকি প্রকাশ্যে দল নিয়েও মুখ খুলেছিলেন রীতেশ তিওয়ারি। বিজেপির নতুন রাজ্য কমিটি এবং জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়। সেই তালিকায় রাজ্য সহসভা
বিজেপিতে বিদ্রোহ। গত কয়েকদিন ধরেই বিজেপিতে কার্যত বিদ্রোহ দেখাচ্ছিলেন জয়প্রকাশ মজুমদার। এমনকি প্রকাশ্যে দল নিয়েও মুখ খুলেছিলেন রীতেশ তিওয়ারি। বিজেপির নতুন রাজ্য কমিটি এবং জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়। সেই কমিটি থেকে বাদ পড়ার পরেই বিদ্রোহ দেখান তাঁরা।
আর এরপরেই সম্প্রতি দুই বিজেপি নেতাকে শোকজ করা হয়। শোকজের উত্তর না দিয়ে দিল্লি যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন জয়প্রকাশ মজুমদার এবং রীতেশ। আর এর মধ্যেই বরখাস্তের সিদ্ধান্ত।
দুই নেতাকেই সাময়িক ভাবে বিজেপি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে বঙ্গ বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে। আর এই ঘটনা সামনে আসার পরেই নয়া এক বিতর্ক। যদিও বিজেপি সুত্রের খবর, বিদ্রোহ থামাতে কড়া পদক্ষেপের পক্ষেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আর দিল্লি থেকে সবুজ সঙ্কেত পাওয়ার পরেই দুই বিজেপি নেতাকে নিয়ে কড়া পদক্ষেপ। এমনটাই বিজেপি সুত্রের খবর। শুধু তাই নয়, এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বিদ্রোহীদের কড়া বার্তা দেওয়া হল বলেই মনে করা হচ্ছে।
এই শোকজ বিতর্কে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, দলের সংবিধান মেনেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিজেপি রাজ্য সভাপতি আরও জানিয়েছেন, দলের মধ্যে কোনও বিরোধ নেই। সমস্যা হলে দলের মধ্যে বলা যেতেই পারে। কিন্তু তা কখনই বাইরে নয়। আর গোটা বিষয়টি শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির যারা সদস্য রয়েছে তাঁরা দেখে-আলোচনা করেই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন সুকান্তবাবু।
তবে কেন অন্যান্য বিদ্রোহী নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নয়? এরপরেই দলের অন্দরেও এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও এই বিষয়ে স্পষ্ট ভাবে কিছু জানাননি তিনি।
উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়ার পর থেকেই বিজেপিতে কোন্দল। একের পর এক বিজেপি নেতারা দল ছাড়তে শুরু করেন। শুধু তাই নয়, দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে একের পর এক বিজেপি নেতা দল ছাড়তে থাকেন। আর এরপরেই দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে দেওয়া হয়। দায়িত্বে আনা হয় সুকান্ত মজুমদারকে।
আর এরপরেও নয়া কমিটি গঠন করা হয়। জয়প্রকাশ-রীতেশের পথেই রাজ্য কমিটিতে মতুয়াদের স্থান না পাওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। তিনিও বিক্ষুব্ধ নিয়ে বৈঠক শুরু করেন ঠাকুর নগরে। সেই তালিকায় যুক্ত হয় সায়ন্তন বসুর মতো নেতাদের নামও।
সেখানে দাঁড়িয়ে দুই নেতাকে বরখাস্ত করে বিদ্রোহীদেরই কড়া বার্তা বিজেপির তরফে। এমনটাই মত রাজনৈতিকমহলের।