বিহারে বিজেপির জোটসঙ্গী জেডিইউর অন্দরে বাংলার নির্বাচনের মাঝে কী ঘটে গেল, জল্পনা ভোট অঙ্কে
বাংলার ভোটে বিজেপির সঙ্গেই জোট বেঁধে নামার ইঙ্গিত প্রথমে দিয়েছিল জেডিইউ। বিহারে তারা গেরুয়া শিবিরের জোটে থাকলেও, উত্তর পূর্বের রাজ্যে দুই শিবিরের মধ্যে বিরোধিতা রয়েছে। আর সেই ছকেই এবার জেডিইউ বাংলাতেও ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেছিল। তবে দলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হতেই কী ঘটল দেখা যাক।
বাংলায় জেডিইউয়ের ঘরে কী ঘটল?
পশ্চিমবঙ্গে জেডিইউয়ের ঘরে বড়সড় কোন্দল। নীতীশ কুমারের দলের রাজ্য সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিলেন অশোক দাস। দেলর বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে দলের তরফে বাংলায় পাঠানো দুই পর্যবেক্ষককে নিয়ে তিনি ক্ষোভ উগড়ে দেন। এদিকে এই ঘটনার পর দলের ছয় বঠর ধরে সাসপেন্ড হওয়া প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি অমিতাভ দত্তকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে দলে।
কোন ক্ষোভ দলত্যাগী নেতার মুখে?
জেডিইউয়ের অশোক দাসের ক্ষোভ, বাংলায় নিযুক্ত দলের দুই পর্যবেক্ষকের তরফে। তাঁর দাবি, নীতীশ কুমার নিজে যেখানে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন, সেখানে দলের তরফে বাংলায় যে পর্যবেক্ষকদের পাঠানো হয়েছে, তারা দুর্নীতির শিকার।
জেডিইউ রাজনীতির অঙ্ক ও বাংলার ভোট
মূলত, বিজেপির হাত না ধরে 'একলা চলো' নীতিতে রাজ্যে জেডিইউ ভোট অঙ্কে এগিয়ে যাচ্ছে। এরফলে তারা খোজ বিহারের এনডিএ শরিক বিজেপির বিরুদ্ধেই প্রার্থী দিচ্ছে। সেক্ষেত্রে বাংলার হিন্দি বলয়ের ভোটব্যাঙ্কের জেডিইউ বনাম বিজেপির একাংশের লড়াই বাকি দলের ভোট ব্যাঙ্ককে সুবিধা দিতে পারে। আপাতত জেডিইউ বাংলায় দফাওয়াড়ি প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করছে। প্রথমে ৭০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার কথা থাকলেও,কয়েকজনের মনোনয়নে ত্রুটি থাকায় জটিলতা অব্যাহত রয়েছে।
সমস্যা কি বিজেপি বিরোধিতা ঘিরে?
জেডিইউয়ের পদত্যাগী নেতা অশোক দাসের দাবি, তাঁরা রাজ্যে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচার করছিলেন। তবে তবে তাঁর মতে তাঁদের দলের সর্বভারতীয় সভাপতি তা চান না। আর সেই কারণেই রাজ্য জেডিইউয়ের এই বিজেপি বিরোধিতার স্টান্স রোখার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাঁর অভিযোগ এই কারণেই দলের দুই দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাকে বাংলায় পর্যবেক্ষক করে পাঠানো হয়।