করোনা পরিস্থিতিতে কড়া বিধি নিষেধের মেয়াদ বাড়াল সরকার, নাইট কার্ফুতে আরও কড়াকড়ি
রাজ্যে ব্যাপক ভাবে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। প্রায় কয়েক হাজার করে মানুষ প্রত্যেকদিন আক্রান্ত হচ্ছেন। এই অবস্থায় ফের একবার বিধি নিষেধের মেয়াদ বাড়াল রাজ্য সরকার। সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত থেকে গত ২ তারিখ থেকে কড়া বিধি নিষেধ লাঘু করা হয়।
রাজ্যে ব্যাপক ভাবে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। প্রায় কয়েক হাজার করে মানুষ প্রত্যেকদিন আক্রান্ত হচ্ছেন। এই অবস্থায় ফের একবার বিধি নিষেধের মেয়াদ বাড়াল রাজ্য সরকার। সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত থেকে গত ২ তারিখ থেকে কড়া বিধি নিষেধ লাঘু করা হয়।
আর সেই পর্যায়ের নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে আজ। সেই মতো নতুন করে ফের একবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিধি নিষেদের মেয়াদ বাড়াল রাজ্য সরকার। যদিও নয়া নিষেধাজ্ঞায় বেশ কিছু ছাড় দেওয়া হয়েছে।
৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ল মেয়াদ
ঘোষণা অনুযায়ী আজ থেকেই নয়া বিধি নিষেধের মেয়াদ শুরু হচ্ছে। আর তা কার্যকর হবে আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। নয়া বিধি নিষেধে আগের নির্দেশিকাই কার্যকর রয়েছে। অর্থাৎ আপাতত স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে। রাত ১০ টা পর্যন্ত লোকাল ট্রেন যেমন চলছে তেমনটাই চলবে। এছাড়াও মল কিংবা অন্যান্য ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ লোক নিয়ে চালাতে হবে। একই সঙ্গে সরকারি কিংবা বেসরকারি ক্ষেত্রে ওয়ার্ক ফ্রম হোমেই কাজ চালিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। কার্যত কয়েকটি ক্ষেত্রে ছাড়া একই নিষেধাজ্ঞাই রাজ্যে বহাল থাকছে।
মেলা-বিয়ে বাড়িতে একাধিক ছাড়
রাজ্যে কড়া লকডাউন জারি থাকলেও বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে মেলা এবং বিয়ে বাড়িতে বেশ কিছু ছাড় দেওয়া হয়েছে। আগে বিয়ে বাড়িতে মাত্র ৫০ জনের আমন্ত্রণের তালিকা বেঁধে দিয়েছিল সরকার। সেই জায়গাতে ছাড় দেওয়া হয়েছে। নয়া নির্দেশিকাতে বিয়ে বাড়িতে ২০০ জন পর্যন্ত আমন্ত্রণ জানানো যাবে। অন্যদিকে মেলাতে ছাড় দেওয়া হয়েছে। তবে তা করতে হবে খোলা মাঠে। এমনটাই বিজ্ঞপ্তিতে দেওয়া হয়েছে।
নাইট কার্ফু কড়া
গত কয়েকদিন আগেই জেলা প্রশাসনের সমস্ত আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্যসচিব। কলকাতার পর এবার ধীরে ধীরে জেলাগুলিতেও সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করেছে। সেখানে দাঁড়িয়ে এই বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। জানা যায়, সেই বৈঠকেই নাইট কার্ফু কড়াকড়ির নির্দেশ দেন তিনি। নয়া নিষেধাজ্ঞাতেও কড়াকড়ির কথা বলা হয়েছে। রাত ১০ টা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত নাইট কার্ফু জারি থাকবে বলে স্পষ্ট ভাবে জানানো হয়েছে।
সংক্রমণ ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা
রাজ্যে প্রত্যেকদিনই কার্যত ২২ হাজার কম-বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। আর সেখানে দাঁড়িয়ে গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে কম বিতর্ক তৈরি হয়নি। আর সেখানে দাঁড়িয়ে মেলাতে ছাড়ে আশঙ্কাই দেখছেন চিকিৎসকরা। একাংশ বলছেন, খোলা মাঠে করলেও যে পরিমান মেলাতে ভিড় হয় তাতে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা থাকছেই। এমনকি বিয়ে বাড়িতে ছাড়ের ক্ষেত্রেও আশঙ্কা থাকছে বলে মত চিকিৎসকদের।