মমতার এই সিদ্ধান্তে বিপাকে বিপাকে গুরুং ও তার ভিনদেশী সমর্থকরা
দার্জিলিং জেলায় বসবাসের জন্য রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট দেওয়ার ক্ষেত্রে কঠোর হচ্ছে রাজ্য সরকার। পাহাড়ের সাম্প্রতিক ঝামেলায় নেপালের যোগসূত্র পাওয়ার পরই আগের অবস্থান বদল করছে রাজ্য সরকার।
দার্জিলিং জেলায় বসবাসের জন্য রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট দেওয়ার ক্ষেত্রে কঠোর হচ্ছে রাজ্য সরকার। পাহাড়ের সাম্প্রতিক ঝামেলায় নেপালের যোগসূত্র পাওয়ার পরই আগের অবস্থান বদল করছে রাজ্য সরকার।
গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনের পিছনে আগেও নেপালের হাত ছিল, এখনও তা আরও বেড়েছে, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ।
সম্প্রতি পুলিশি তদন্তে দেখা গিয়েছে বিমল গুরুং-এর একাধিক সহযোগী নেপালের স্থানীয় বাসিন্দা। আবার দার্জিলিং-এ গণ্ডগোল পাকিয়ে নেপালে পালিয়ে যাওয়ার প্রমাণও পেয়েছে পুলিশ। ফলে নজরদারির সঙ্গে সতর্কতা নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
১৯৫০ সালের ভারত নেপাল চুক্তির ৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী নেপালিরা এদেশে এসে স্থায়ী ভাবে বসবাস করতে পারেন। জমি কেনা থেকে চাকরির সুযোগও পান এদেশে। তবে এজন্য তাদের রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট নিয়ে হয়। সম্প্রতি দার্জিলিং-এর আন্দোলনে নেপালের যোগসূত্র বেশি করে উঠে আসায় ৭ নম্বর ধারা নিয়ে কঠোর অবস্থানের পক্ষপাতি রাজ্য। এই ধারার পরিবর্তন দাবি করা হলেও, যতক্ষণ তা না হচ্ছে, ততক্ষণ রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট দিতে কড়া হতে চাইছে রাজ্য সরকার।
শালবাড়ি, বিজনবাড়ি, সুকনা, সুখিয়াপোখড়িতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার অস্বাভাবিক। সেই খবর নবান্নে এসে পৌঁছেছে। এ ছাড়াও শিলিগুড়ি সংলগ্ন এলাকায় বাংলাদেশিদের সংখ্যা বাড়ছে বলেও অভিযোগ। অন্যদিকে, সিকিম সরকার, রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট নিয়ে কড়া অবস্থান নেওয়ায় সেখানের নেপালিরাও সমস্যায় পড়েছেন। ফলে তাদেরও এখনকার টার্গেট সেই দার্জিলিং।
সরকারি আধিকারিকদের বলা হয়েছে রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেটের আবেদনকারীদের, পেশা, জমি, আধার, স্কুল সার্টিফিকেট দেখে সন্তুষ্ট হলেই সার্টিফিকেট দিতে।