মূল আলোচ্য নয় গোর্খাল্যান্ড! তবু মমতার বৈঠকে যোগ ‘নমনীয়’ গুরুংপন্থীদের
গোর্খাল্যান্ড ইস্যু বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয় নয়। মূল আলোচ্য বিষয় পাহাড়ে শান্তি ফেরানো। গোর্খ্যাল্যান্ড ইস্যু নিয়ে আলোচনায় অনিশ্চয়তার মধ্যেই পাহাড় বৈঠকে যোগ দিতে আসছেন মোর্চা প্রধান বিমল গুরুংয়ের প্রতিনিধিরা। মঙ্গলবার উত্তরকন্যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা গুরুংপন্থী ৬ সদস্যের।

পাহাড় সমস্যার নিরসনে এদিন দ্বিতীয় সর্বদল বৈঠক। প্রথম বৈঠক হয়েছিল নবান্নে। এবার বৈঠক বসছে শিলিগুড়ির উত্তরকন্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিলিগুড়ি পৌঁছে গিয়েছেন। সঙ্গে গিয়েছেন তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্য ইন্দ্রনীল সেন। বৈঠকে বিনয় তামাং গোষ্ঠীকে আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। অফিসিয়ালি কোনও চিঠি দেওয়া হয়নি গুরুংপন্থীদের।
তবে গুরুংপন্থী তিন বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে গিয়েছিলেন। তাঁরা সেখানে চিঠি দিয়ে পাহাড় বৈঠকে যোগ দিতে ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এটা বিমল গুরুংয়ের চাল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সেই সূত্র ধরেই গুরুংপন্থীদের ডাকা না হলেও তাঁদের বৈঠকে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
রাজ্যে প্রশাসন চাইছে মোর্চার গুরুংপন্থীরাও এই বৈঠকে থাকুন। তাই প্রশাসনের তরফে কোনও বাধা দেওয়া হবে না গুরুং অনুগামীদের। এখন মোর্চা অনুগামী কোন কোন নেতা বৈঠকে আসেন তা তাৎপর্যপূর্ণ বর্তমান পাহাড় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে।
কারণ প্রথম সর্বদল বৈঠকের পর পাহাডর রাজনীতিতে নয়া মোড় এসেছে। মোর্চার মধ্যে ভাঙ দেখা দিয়েছে। দুই দল চাইছে ভিন্নপথে আন্দোলন চালিয়ে যেতে। একদল চাইছে পাহাড়ে শান্তি ফিরিয়ে আনতে বনধ প্রত্যাহার। অন্যদল চাইছে বনধ চালিয়ে যেতে।
বিনয়তামাং জানিয়েছেন, নবান্নের তরফে ডাক পেয়েছি। আমাদের তরফ থেকে বৈঠকে যাবো। আমরা পাহাড়ে শান্তিস্থাপনের পক্ষে, উন্নয়নের লক্ষ্যে বৈঠকে অংশ নেব। পাহাড়ের ভালো চাই আমরা। পাহাড়েরপ মানুষকে আর কষ্ট দিতে চাই না।
গুরুংপন্থীদের পক্ষে এই বৈঠকে যোগ দিতে আসবেন তিন মোর্চা বিধায়ক অমর সিং রাই, সরিতা রাই ও রোহিত শর্মা। এছাড়াও কালিম্পং পুরসভার চেয়ারম্যান শুভ প্রধান, মোর্চার কেন্দ্রীয় নেতা বি ভুজেল ও সুগত থাপা থাকবেন এই বৈঠকে।
পাহাড়ের অন্য দলগুলিও উপস্থিত থাকবেন এই সর্বদল বৈঠকে। সম্প্রতি গোর্খাল্যান্ড মুভমেন্ট কো-অর্ডিনেশন কমিটি থেকে সরে দাঁড়িয়েছে গোর্খা লিগ। তারাও যেমন এই বৈঠকে প্রতিনিধিত্ব করবে, প্রতিনিধিত্ব করবে জিএনএলএফ, জন আন্দোলন পার্টির নেতৃবর্গ। উত্তরবঙ্গের তিন মন্ত্রীও থাকবেন এদিনের বৈঠকে। এই বৈঠক থেকে শান্তি ফিরবে পাহাড়ে এমনটাই আশা করছেন পাহাড়বাসী।