আরামবাদে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে আহত কমপক্ষে ১০, জ্বলছে ৭টি বাড়ি
আরামবাগ থানার অন্তর্গত পূর্ব কৃষ্ণাপুর গ্রামে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় তৃণমূল ও বিজেপি। মুণ্ডেশ্বরী নদীর বালি তোলা নিয়ে দুই দলের বিবাদ বাধে। এই বিবাদ ক্রমশ সংঘর্ষে পরিণত হয়। এই ঘটনায় বিজেপির বেশ কিছু কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এসপি সুনীল চৌধুরি। তিনি আরও জানিয়েছেন, কুখ্যাত বালি মাফিয়া জয়নাল আবেদিন ফিরে আসার ফলেই এই গণ্ডগোল। যদিও রাজনৈতিক কারণে গ্রামে থাকছে না সে ।
অন্যদিকে বিজেপির দাবি, তৃণমূল এই সংঘর্য শুরু করে। শাসক দল চায় না বিজেপির উঠে আসুক, সেই কারণেই এই সব কাণ্ড ঘটাচ্ছে তৃণমূল। এই ঘটনায় বহু বিজেপি কর্মী আক্রান্ত হয়েছে বলে দাবি তাঁদের। তৃণমূল অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
আবেদিনকে গ্রামে দেখে গ্রামবাসীরা আতঙ্কে ভুগছেন বলে দাবি তৃণমূলের পুরসুরার বিধায়ক পারভেজ রহমানের। বিধায়কের অভিযোগ, তৃণমূলের এক সমর্থকের স্ত্রীকে খুন করেছেন আবেদিন। এই ঘটনায় কোনও তৃণমূল কর্মী যুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে দলের কর্মী আবেদিনের বাড়ি তৃণমূল কর্মীরা জ্বালিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বিজেপি নেতা নাসিরুদ্দিন মালিকের। কোনওরতমভাবে ওই তৃণমূল নেতাদের উত্যক্ত করা হয়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি। আবেদিনের দাদাকেও তারা মারধর করে। এরপরেই স্থানীয় লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে বলে দাবি ওই বিজেপি নেতার।
এই ঘটনায়, দুই দলেরই কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন বলে খবর। এদিন লোহার রড, লাঠির পাশাপাশি বোমারও ব্যবহার হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আধা সামরিক বাহিনি এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে আছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।