বিখ্যাত চিত্রশিল্পী নন্দলাল বসুর চিনা ছাত্রর ছবির প্রদর্শন পেকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে
বিখ্যাত চিত্রশিল্পী নন্দলাল বসুর চিনা ছাত্রর ছবির প্রদর্শন পেকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে
১৯৪৭ সালে বিখ্যাত ভারতীয় চিত্র শিল্পী নন্দলাল বসুর অধীনে চিত্রাঙ্কন অধ্যয়নের জন্য চিনের চিত্রশিল্পী চ্যাং জিউফেং শান্তিনিকেতনে এসেছিলেন। তখনও ভারত ব্রিটিশ শাসনের অধীনে ছিল। এরপর প্রায় ১৪ বছর ভারতে থাকার পর ১৯৬১ সালে কমিউনিস্ট এজেন্ট হওয়ার অভিযোগে তাকে কারাবন্দী করে ব্রিটিশ সরকার। নির্বাসন দেওয়া হয় দার্জিলিংয়ে।
এদিকে ২০২০ সালেই ভারত ও চীনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭০ তম বছর সম্পূর্ণ হচ্ছে। ভারতে আঁকা চিনা চিত্রশিল্পী চ্যাংয়ের ৬০টি চিত্রের মধ্যে ২০টি বর্তমানে পেকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে প্রদর্শিত হচ্ছে।
কেউ কেউ তাঁর ভারতীয় সহকর্মীদের কাজের দ্বারা অনুপ্রাণিত হলেও, তাঁর চিত্রগুলি বেশির ভাগই বাঙালির প্রাত্যহিক জীবন, পাখি ও বন্যপ্রাণীদের উপ আঁকা। বর্তমানে এই ছবি গুলির মধ্যেই বেশ কিছু ছবি ও চ্যাংয়ের কাকা এবং পণ্ডিত চ্যাং রেন্সিয়ারের ভারত সফরের সময়ের লেখালেখি বর্তমানে ল্যান্ড অফ পিস নামে পেকিং লাইব্রেরির ওই প্রদর্শনীতে দেখানো হচ্ছে। ভারত ও চিন দুটি দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক ও শৈল্পিক আদান-প্রদানের সন্ধান পাওয়ার তার বেশির ভাগ চিত্রকর্মেই।
বিখ্যাত চিত্রশিল্পী জু বিহংয়ের অনুপ্রেরণায় চ্যাং ৩২ বছর বয়সে শান্তিনিকেতনের আর্ট স্কুলে পড়াশোনা করার জন্য ভারতে এসেছিলেন। নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংহাইয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক তানসেন সেন বর্তমানে চ্যাং জিউফেংয়ের জীবন নিয়ে গবেষণা করছেন। তার মতেও তার ছবি গুলিও দীর্ঘদিন ধরে ভারত-চিন সম্পর্কের জীবন্ত দলিল। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা সবসময়ই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বা জু বিহংয়ের মতো সীমান্তের দুপাশে সুপরিচিত লোকদের নিয়ে কথা বলি, তবে অনেক অজানা মানুষওএই ক্ষেত্রে সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।