ইনজেকশনের নেওয়ার ব্যাথা থেকে মুক্তি ? দেশের প্রথম মাইক্রোনিডল তৈরি করে তাক লাগাল খড়গপুর
ইনজেকশনের নেওয়ার ব্যাথা থেকে মুক্তি ? দেশের প্রথম মাইক্রোনিডল তৈরি করে তাক লাগাল খড়গপুর
দেশের মধ্যে প্রথম মাইক্রোনিডল বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিলেন খড়গপুরের গবেষকেরা। মাইক্রোনিডলের মাধ্যমে শরীরে ভিতরে ওষুধ পৌঁছানোর জন্য তৈরি করা হয়েছে মাইক্রো পাম্পও। খড়গপুর আইআইটি-র এই নয়া আবিষ্কারে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে গবেষক মহলে।
অভিনব আবিষ্কার খড়গপুরের
অভিনব এই দুই যন্ত্রের আবিষ্কার করেছেন খড়গপুরের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ইলেকট্রনিক্স এবং ইলেকট্রিক কমিউনিকেশনসের গবেষক অধ্যাপক তরুণকান্তি ভট্টাচার্য ও তাঁর সহযোগীরা। ইতিমধ্যেই তাদের এই অভাবনীয় গবেষণার কথা প্রকাশিত হয়েছে বিজ্ঞান বিষয়ক আন্তর্জাতিক ম্যাগাজিন নেচার পত্রিকায়।
কাটতে চলেছে ইনজেকশন নেওয়ার ভয় ?
এদিকে এই প্রসঙ্গে খড়গপুরের গবেষকেরা জানান মাইক্রোনিডলগুলির ভিতরের ব্যাস মাত্র ৫৫ মাইক্রোমিটার। ভিতরের ব্যাস সাকুল্যে ৩৫ মাইক্রোমিটার। অনেকেই মনে করছেন খড়গপুরের গবেষদের হাত ধরেই এবার ইনজেকশন নেওয়ার ভয় বা সূচ ফোটানোর ভয় থেকে নিস্তার পেতে চলেছেন অনেকেই।
কী ভাবে কাজ করে এই মাইক্রোনিডল ?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই ‘মাইক্রো নিডল' আসলে দেখতে অনেকটা ব্যান্ডেডের মতো। ব্যান্ডেডের মতো এই মাইক্রো নিডলে প্রায় ১০০টি অতি সূক্ষ্ম সূচ রয়েছে। এটিকে ত্বকের উপর জড়িয়ে দিলেই ইনজেকশনের ওষুধ শরীরের ভিতর আপনাআপনিই চলে যাবে। বিজ্ঞানের পরিভাষায় এই পদ্ধতিকে ‘ট্রান্স ডার্মাল ড্রাগ ডেলিভারি সিস্টেম'। আগামীতে এই বিশেষ প্রক্রিয়ায় তৈরি সূচ মানব ট্রায়ালে উত্তীর্ম হলেই তা সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে এসে যাবে বলে জানা যাচ্ছে।
করোনার টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রেও কার্য়করী ভূমিকা নিতে পারে এই মাইক্রোনিডল
বিশেষজ্ঞরা বলছেন করোনার টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রেও এই ‘মাইক্রো নিডল' অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারে। পাশাপাশি যে কোনও টিকা নেওয়ার সময়ের যন্ত্রণাকে অনেকটাই লাঘব করতে পারে এই বিশেষ প্রযুক্তিতে তৈরি ‘নিডল' বা সূচ। অন্যদিকে ইনসুলিন নেওয়ার সময় সূচ ফোটানোর ভয় থেকে নিস্তার পেতে চলেছেন ডায়াবেটিস রোগীরা।
প্রতীকী ছবি
কাশ্মীরি দম্পতির ISIS যোগ! সন্ত্রাসের হাইপ্রোফাইল মামলায় চার্জশিট পেশ এনআইএর