সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি শুভেন্দু অধিকারীর! ৫ মামলায় হাইকোর্টের 'রক্ষাকবচ' বহালে 'ধাক্কা' মমতার সরকারকে
তাঁর বিরুদ্ধে চলা পাঁচটি মামলায় স্বস্তি রাজ্যে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। হাইকোর্টের (high court) ডিভিশন বেঞ্চের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) আবেদন করেছিল রাজ্য সরকার
তাঁর বিরুদ্ধে চলা পাঁচটি মামলায় স্বস্তি রাজ্যে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। হাইকোর্টের (high court) ডিভিশন বেঞ্চের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) আবেদন করেছিল রাজ্য সরকার। এদিনের শুনানিতে বলা হয়েছে, সেই সব মামলা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata banerjee) সরকার কিংবা পুলিশকে ফের কলকাতা হাইকোর্টের কাছেই আবেদন জানাতে হবে।
শুভেন্দু অধিকারীকে রক্ষাকবচ দিয়েছিল হাইকোর্ট
গত সেপ্টেম্বরের শুরুতে দেহরক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তী মৃত্যু মামলায় ভবানীভবনে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু তিনি রাজনৈতিক ব্যস্ততার কারণ দেখিয়ে সেখানে অনুপস্থিত ছিলেন। এব্যাপারে তিনি সিআইডিকে মেলও করেছিলেন। সঙ্গে হাইকোর্টেও চলছিল মামলা। সেই খানেই তাঁকে স্বস্তি দিয়ে জানানো হয়েছিল তাঁর (শুভেন্দু) বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে না। শুভএন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে চলা মামলাগুলিতে তাঁকে গ্রেফতার করতে গেলে আদালতের আগাম অনুমতি নিতে হবে বলেও জানানো হয়েছিস হাইকোর্টের আদেশে।
৫ টি মামলায় নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর আবেদন
শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মূলত দেহরক্ষীর অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা-সহ ৫ টি মামলা চালাচ্ছে রাজ্য সরকার। বিরোধী দলনেতার আইনজীবী হাইকোর্টের কাছে আবেদন করেছিলেন, তাঁকে যেন দেহরক্ষীর মৃত্যু মামলা, নন্দীগ্রামে মিছিল এবব তমলুকের এসপিকে হুমকির মামলা-সহ ৫ টি মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়, কিংবা সেগুলি সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়া হয়। কেননা বিরোধী দলনেতার যুক্তি ছিল সব মামলাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সেই মামলা চলার সময়ে কীভাবে শুভেন্দু অধিকারীকে হাজিরার নোটিশ তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন আইনজীবী। হাইকোর্টের তরফে তিন মামলায় স্থগিতাদেশ দেওয়া হলেও, দুটি মামলা চলবে বলে জানানো হয়। তবে এইসব মামলায় পুলিশ কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না বলেও জানানো হয়। প্রথমে সিঙ্গল বেঞ্চ এই আদেশ দেওয়ার পরে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি কেসাং জোমা ভুটিয়ার ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করে রাজ্য সরকার। কিন্তু সেখানেই আগের রায়ই বহাল রাখা হয়।
হাইকোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল রাজ্য সরকার
হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। যদিও রাজ্য সরকারের সেই আবেদনকে কার্যত গুরুত্বই না দিয়েই ফের মামলা হাইকোর্টেই ফেরত পাঠানো হয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী এব্যাপারে শেষ সিদ্ধান্ত হাইকোর্টই নেবে বলেও জানানো হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে।
শুভেন্দু অধিকারীর স্বস্তি
হাইকোর্টের রায়ের পরে স্বস্তি পেয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তার পরে রাজ্য সরকারের আবেদনে হাইকোর্টের রায়ের ওপরে হস্তক্ষেপ করতে না চাওয়ার ঘটনায় দেশের সর্বোচ্চ আদালতেও এবার স্বস্তি পেলেন শুভেন্দু অধিকারী।
বাংলাকে দেশের মধ্যে সেরা করেছি! ১০০% লড়ব, ১০০% জিতব, গোয়ায় বার্তা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতার