পঞ্চায়েতের আগেই পাওয়ার গ্রিড ভাঙড়ে! রেজ্জাককে জবাব, শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে রুখব
পঞ্চায়েত ভোটের আগেই ভাঙড়ে পাওয়ার গ্রিড প্রকল্পের কাজ শুরু করার চ্যালেঞ্জ দিলেন মন্ত্রী রেজ্জাক মোল্লা। সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে জমি-জীবিকা বাস্তুতন্ত্র রক্ষা কমিটির মুখপাত্র
পঞ্চায়েত ভোটের আগেই ভাঙড়ে পাওয়ার গ্রিড প্রকল্পের কাজ শুরু করার চ্যালেঞ্জ দিলেন মন্ত্রী রেজ্জাক মোল্লা। সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে জমি-জীবিকা বাস্তুতন্ত্র রক্ষা কমিটির মুখপাত্র অলীক চক্রবর্তী বললেন, যে-ই আসুক রাজ্য বা কেন্দ্র, শরীরের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে পাওয়ার গ্রিড রুখব। শনিবার তৃণমূলের শান্তি মিছিলের পরও পাওয়ার গ্রিড-জট কাটল না ভাঙড়ে। শান্তি ফেরানোর বদলে ফের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ল পাওয়ার গ্রিড বিতর্ককে কেন্দ্র করে।
শনিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ভাঙড়ে তৃণমূলের তিন গোষ্ঠী একত্রিত হয়ে শান্তি মিছিল করে। এক ফ্রেমে দেখা যায় রেজ্জাক মোল্লা, আরাবুল ইসলাম ও কাইজার আহমেদকে। তারপর তাঁরা এক সুরেই জানিয়ে দেয় ভাঙড়ে এক শ্রেণির মানুষ বুল বুঝিয়ে চলেছেন, পাওয়ার গ্রিগ হলে কোনও ক্ষতিই হবে না, উল্টে উন্নয়নের দরজা খুলে যাবে। তাই ভাঙড়ে পাওয়ার গ্রিড হবেই।
[আরও পড়ুন:ক্ষতিপূরণ ঘোষণায় ভাঙড়ের ক্ষতে প্রলেপ লাগানোর প্রয়াস মমতার, ধমক রেজ্জাক-আরাবুলদের ]
রেজ্জাক মোল্লা আবার এক কদম এগিয়ে বলেন, 'পঞ্চায়েতের আগেই আমরা পাওয়ার গ্রিডের কাজ শুরু করব। ওসব রেড স্টার, ইয়েলো স্টার কেউ আটকাতে পারবে না। আমাদের বাহিনীই ওদের জন্য যথেষ্ট। এদিন মিছিল থেকে এমন দাবিও ওঠে পাওয়ার গ্রিডে একটা শ্রেণি বাধার দেওয়ার চেষ্টা করছে। ওদের অনেক আগেই ঘাড়ধাক্কা দেওয়া উচিত ছিল।'
উল্লেখ্য, পাওয়ার গ্রিডের বিরোধিতায় মিছিল ঘিরে বৃহস্পতিবার থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। মুড়ি-মুড়কির মতো বোমাপড়তে থাকে। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় গাড়ি-বাইক। পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নামতে হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি রেজ্জাক-আরাবহুলকে নবান্নে তলব করে ধমক দেন। সেইসঙ্গে গোষ্ঠীকোন্দল মিটিয়ে একযোগে শান্তি মিছিল করার ডাক দেন।
আরাবুল ইসলাম এদিন মিছিল থেকে বলেন, 'আমাদের মধ্যে কোনও দ্বন্দ্ব নেই। দল যা নির্দেশ দেবে, সেইমতো কাজ করব। আমাদের লক্ষ্য উন্নয়ন, সেই উন্নয়নের প্রশ্নে কোনও ভেদাভেদ নেই। সমস্ত ভেদাভেদ ভুলে আমরা একযোগে কাজ করব। এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে প্রকল্পের কাজ শুরু করাই আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য।'