দু’দিন আগে হাত ধরে ঘুরেছেন রেজ্জাক-আরাবুল, এবার সংঘর্ষ কাইজার বনাম আরাবুলে?
আবার উত্তপ্ত ভাঙড়। পাওয়ার গ্রিডের উত্তাপ এখন স্তিমিত হলেও ভাঙড় ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে। গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে কাইজার আহমেদ।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ৪ মার্চ : আবার উত্তপ্ত ভাঙড়। পাওয়ার গ্রিডের উত্তাপ এখন স্তিমিত হলেও ভাঙড় ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে। গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে কাইজার আহমেদ। অভিযোগের তির যথারীতি আরাবুল অনুগামীদের দিকে। ক'দিন আগে ভাঙড়ের বর্তমান ও প্রাক্তন বিধায়ক রেজ্জাক-আরাবুল হাত ধরাধরি করে ঘুরলেও ভাঙড় যে ভাঙড়েই তা ফের প্রমাণিত শুক্রবারেক ঘটনায়।[ভাঙড়ে গ্রিডের কাজ শেষ করতে সচেতনতামূলক প্রচারই হাতিয়ার কর্পোরেশনের]
অকুস্থল সেই খামারআইট। গ্রামে বৈঠক ডেকেছিল তৃণমূল। সেই বৈঠকে গিয়ে কাইজার আহমেদ, নান্নু হোসেনরা 'বন্দি' হয়ে গেলেন। তাঁদের ঘিরে প্রবল বিক্ষোভে দেখালেন গ্রামবাসীরা। প্রায় তিন ঘণ্টা আটকে রাখা হল তাঁদের। শুধু আটকে রাখাই নয় নেতাদের গাড়িও ভাঙচুর করা হল। অভিযোগ আরাবুল ইসলামের মদতেই এই বিক্ষোভ সঙ্ঘটিত হয়েছে।[ভাঙড়ের আন্দোলনকে দিল্লি পৌঁছে দিতে চান অধীর, মিছিলকে সমর্থন কংগ্রেসের]
কিন্তু কেন আবার উত্তপ্ত ভাঙড়? বিক্ষোভকারী গ্রামবাসীদের দাবি, মহিলাদের উদ্দেশে তৃণমূল নেতারা কটূ মন্তব্য করেছিলেন। সেই কারণেই গ্রামের মহিলারা বিক্ষোভ দেখান। গ্রামবাসীরা নেতাদের মারধর ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন। তৃণমূল নেতাদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখানোর আরও একটি কারণ হিসেবে গ্রামবাসীরা তুলে ধরেন, পাওয়ার গ্রিড বিরোধী আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। তাই তৃণমূল নেতাদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়।[শুধু আরাবুল কেন, শান্তি বজায় রাখতে দল থেকে নিজেও সরে যেতে রাজি শোভন!]
কাইজার আহমেদ নিজে আরাবুলের বিরুদ্ধে মুখ না খুললেও কাইজার ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা হাবিবুর রহমান বলেন, এলাকার উন্নয়নের লক্ষ্যে গ্রাম তৃণমূল নেতাদের নিয়ে একটা বৈঠক করছিলাম। আরাবুলের নাম না করে তিনি বলেন, দলে পাত্তা না পেয়ে এক নেতা হামলা চালাচ্ছে তৃণমূলের উপরই। এই ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার ভাঙড়ের এই অঞ্চলে মিছিল হবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।[ভাঙড়ে গুলি চালাল কে? উদ্বেগ প্রকাশ করে আদালতের পর্যবেক্ষণে তদন্তের নির্দেশ বিচারপতির]