শেষ পর্যন্ত কি শাসক শিবিরেই ঋতব্রত, জন্মদিনে টুইটার পোস্ট ঘিরে জল্পনা
শেষ পর্যন্ত কি তৃণমূল শিবিরেই নাম লেখাতে চলেছেন সিপিএম থেকে বহিষ্কৃত সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়? জন্মদিনের একটি টুইটার পোস্ট ঘিরেই জল্পনা তুঙ্গে।
শেষ পর্যন্ত কি তৃণমূল শিবিরেই নাম লেখাতে চলেছেন সিপিএম থেকে বহিষ্কৃত সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়? জন্মদিনের একটি টুইটার পোস্ট ঘিরেই জল্পনা তুঙ্গে। নিন্দুকরা বলছেন, তৃণমূলের এক সাংসদের সঙ্গেই এই মুহূর্তে তাঁর যোগাযোগ সব থেকে বেশি।
[আরও পড়ুন: নারদ কাণ্ডে মুকুল-যোগ 'পুনর্নির্মান'-এর অপেক্ষায় সিবিআই, ২ শোভন ঘনিষ্ঠকে জিজ্ঞাসাবাদ]
সিপিএম থেকে বহিষ্কারের পর রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ বলেছিলেন, ঋতব্রত গন্তব্য হতে চলেছে তৃণমূলই। কিন্তু এর পরেই চলে আসে যৌন কেলেঙ্কারির নানা তথ্য। তারপর থেকে দীর্ঘদিন আত্মগোপন। আপাতত সিআইডির জিজ্ঞাসাবাদের পর্ব জারি রয়েছে। এরই মধ্যে চলতি মাসেই বান্ধবী দুর্বা সেনের সঙ্গে বিবাহ পর্বটি সেরেছেন সিপিএম থেকে বহিষ্কৃত এই সাংসদ।
দক্ষিণ কলকাতার আশুতোষ কলেজের ছাত্র রাজনীতিতে এসএফআই-এর মাধ্যমে উত্থান ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এরপর এসএফআই-এর সর্বভারতীয় সভাপতি। সেই সময়ে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের পছন্দের তালিকায় থাকায় তাঁকে রাজ্যসভায় মনোনয়ন দেয় সিপিএম। ভাল বক্তা, নজর কেড়েছিলেন সবার। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ওঠার পর পুরনো দলের তদন্ত কমিশন। এই পর্যন্ত সব কিছু ঠিক থাকলেও, সংবাদ মাধ্যমে 'দলবিরোধী বক্তব্য'-এর জেরে সিপিএম থেকে বহিষ্কার করা হয় তাঁকে।
কিন্তু এর পর ধর্ষণ কাণ্ডে নাম জড়িয়ে একের পর এক কেলেঙ্কারিতে ফেঁসেছেন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। আপাতত কোনও দলেই ঠাঁই নেই। তবে দিল্লিতে মুকুল রায়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন একাধিকবার। দিন কয়েক আগেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেছিলেন কেচ্ছা-পর্ব মেটালে তাঁদের দলে স্থান পেতে পারেন তিনি। তবে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ ছিল রাজ্যের প্রায় সবদলের সঙ্গেই। বিশেষ করে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েনের সঙ্গে।
ঋতব্রত বারবরই বলে এসেছেন, স্ট্যান্ডিং কমিটির বিভিন্ন কাজে যুক্ত থাকার জন্য তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েনের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগটা একটু বেশিই। তবে, রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছে, মুকুল রায় দল পরিবর্তনের পর ইদানিং নিজের আগেকার 'সিদ্ধান্ত' বদল করেছেন ঋতব্রত। আর সেই জন্যই তৃণমূলের মুখপত্র এবং সংস্কৃতি, পরিবহণ, ভ্রমণ বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ডেরেকের সঙ্গে ঋতব্রতর যোগাযোগ হচ্ছে ঘনঘন। আর সেই জন্যই হয়তো নিজের পুরনো দলের সঙ্গে মুকুল রায়ের বর্তমান দল বিজেপিকে আক্রমণ করেছেন একসঙ্গে। জন্মদিনে তাঁর টুইট, তাকে আঘাত করার জন্যই তাঁর সঙ্গে তৃণমূল সাংসদকে জড়িয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এর জন্য লাল এবং গেরুয়া দুই শিবিরকেই দায়ী করেছেন তিনি।
Spreading rumours about my future & about my closeness to a former TMC MP are being deliberately done to hurt me. Please don't believe in red or saffron rumours.
— Ritabrata Banerjee (@RitabrataBanerj) November 15, 2017
একইসঙ্গে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন সিপিএম থেকে বহিষ্কৃত এই সাংসদ। সরকার কি বিরোধীদের মুখোমুখি হতে ভয় পাচ্ছে, এমন প্রশ্নও করেছেন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়।
Parliament is a place of Debate Discussion & Dissent. Parliament must meet irrespective of one state election. Govt scared of facing Opposition?
— Ritabrata Banerjee (@RitabrataBanerj) November 15, 2017