টাকার বিনিময়েই সুপারিশ, তাই রোজভ্যালিকাণ্ডে দুর্নীতি দমন আইনে চার্জশিট সুদীপ-তাপসকে
রোজভ্যালিকাণ্ডে দুর্নীতি দমন আইনে তৃণমূলের দুই সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাপস পালের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল হওয়ার পরই ফের নজরে আরও প্রভাবশালীরা।
কলকাতা, ২৮ এপ্রিল : রোজভ্যালিকাণ্ডে দুর্নীতি দমন আইনে তৃণমূলের দুই সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাপস পালের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল হওয়ার পরই ফের নজরে আরও প্রভাবশালীরা। ফলে তাঁদের ফের তলবের সম্ভাবনা বাড়ছে। ওড়িশার আদালতে চার্জশিট পেশের পরই তাই চাপ বাড়ছে রাজ্যের প্রভাবশালীদের। এদিকে প্রশ্ন উঠে পড়েছে কেন সুদীপ-তাপসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনে চার্জশিট?
উল্লেখ্য, এই প্রথম বেআইনি আর্থিক প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত মামলায় কোনও অভিযুক্তের নামে চার্জশিট পেশ হল। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০, ১২০বি, ৪০৯ ধারার সঙ্গে দুর্নীতি দমন আইনের ১৩(১) ও ১৩(২) ধারায় চার্জশিট জমা দেওয়া হয়। কেন তৃণমূলের দুই সাংসদের বিরুদ্ধে দুর্মীতি দমন আইনে মামলা দায়ের করা হল, সেই প্রশ্নের উত্তরে এক সিবিআই আধিকারিক জানান, এর আগে নারদ কাণ্ডে একাধিক জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রোজভ্যালিকাণ্ডে ধৃত দুজনও জনপ্রতিনিধি। এঁদের বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে কোনও সুপারিশ ও সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার সরাসরি প্রমাণ মিলেছে। এই দুই সাংসদ নিজেদের পদ ব্যবহার করে ও প্রভাব খাটিয়ে নানা সুবিধা পাইয়ে দিয়েছেন। সংস্থার হয়ে চিঠি লিখেছেন। সংস্থার কর্ণধারের সঙ্গে একাঝির অনুষ্ঠানে গিয়েছেন, একাধিক মিটিং করেছে। আর এর পুরোটাই হয়েছে টাকার বিনিময়ে। সেই কারণেই এই চার্জশিটে যুক্ত করা হয়েছে দুর্নীতি দমন আইনের ধারা।