কংগ্রেস প্রার্থী সোমেন মিত্রর জন্য প্রচার করবেন বিদ্রোহী তৃণমূল সাংসদ কবীর সুমন
সোমেন মিত্রর পাশাপাশি কংগ্রেসের আর প্রার্থী চিত্রশিল্পী সমীর আইচকে সমর্থন করতে পারেন সুমন। এদিন সুমনের বাড়িতে দেখা করতে যান সমীর আইচ। যাদবপুর কেন্দ্র থেকে এবার কংগ্রেসের টিকিটে দাঁড়াচ্ছেন আইচ।
কংগ্রেসের প্রার্থী হিসাবে নয়, ব্যক্তিগত পরিচয় থেকেই সোমেন মিত্রকে সমর্থন জানালেন সুমন। একই কারণ সমীর আইচের ক্ষেত্রেও। দুজনই তাঁর দীর্ঘদিনের বন্ধু। কিন্তু তা বলে কেউ যেন না ভাবেন আমি রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থতার জন্য এঁদের সমর্থন করছি।
৬৪ বছরের এই সাংসদের কথায় জয়নগরের এসইউসিআই প্রার্থী তরুণ মন্ডল যদি চান তাহলে তাঁকেও সমর্থন করাতে আপত্তি নেই এই গায়ক-রাজনীতিবিদ কবীর সুমনের।
২০০৯ সালে জেতার পরই দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় সুমনের
২০০৯ সালে এই যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়িয়েছিলেন কবীর সুমন। তখনকার বর্তমান সাংসদ সিপিএমের সুজন চক্রবর্তীর মতো হেভিওয়েট নেতাকে হারিয়ে সংসদে গিয়েছেন কবীর সুমন।
সবকিছু ভালই চলছিল। কিন্তু জেতার পরেই সুমন তৃণমূলেরই বেশ কিছু নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনতে শুরু করেন। দলের মধ্যেই দুর্নীতি চলছে বলে মন্তব্য করেন। এর ফলেই দলনেত্রীর সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে শুরু করে তাঁর। এর পরেও বেশ কয়েকবার কিছু মন্তব্য করে দলকে অস্বস্তিতে ফেলেন এই সাংসদ।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের সমালোচনামূলক গান বাধেন সুমন। এমনকী তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর মাও নেতা কিষেণজির পুলিশের গুলিতে মৃত্যু নিয়েও গান গেয়েছিলেন সুমন। এর ফলে, তৃণমূলের বর্তমান সাংসদ থাকে সত্ত্বেও দলেই কোণঠাসা হয়ে যান তিনি।
এবারের লোকসভা নির্বাচনে সিমিএম প্রার্থী অপরিবর্তি থাকলেও তৃণমূলের টিকিট পাননি সুমন। তাঁর জায়গায় এবার যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়াচ্ছেন মমতা ঘণিষ্ঠ শিক্ষাবিদ সুগত রায়। একদা তৃণমূল ঘণিষ্ঠ সমীর আইচ দাঁড়াচ্ছেন এই কেন্দ্র থেকেই কিন্তু কংগ্রেসের আসনে।