বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিতেই গেরুয়া শিবিরে ভাঙন, কারা এলেন তৃণমূল শিবিরে
শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে মেদিনীপুরের সভায় অমিত শাহের উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন মালদহের গাজোলের বিধায়ক দীপালি বিশ্বাস। দীপালির গেরুয়া-যোগের ৪৮ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বিজেপি শিবিরে বড় ভাঙন ধরল তাঁর বিধানসভা ক্ষেত্রে। বিজেপির বিক্ষুব্ধ নেত্রী দলবল নিয়ে যোগ দিলেন তৃণমূলে।

দীপালির বিজেপি-যোগে বিক্ষোভ পর্যবসিত হল ভাঙনে
গাজোলের বিধায়ক দীপালি বিশ্বাস তৃণমূল ছেড়ে গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নেওয়ার পর থেকেই এলাকায় প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন বিজেপির নেতা-নেত্রী-কর্মী-সমর্থকরা। বিশেষ করে আদি নেতারা দীপালি বিশ্বাসকে মেনে নিতে রাজি ছিলেন না। তার ফলশ্রুতিতে বিক্ষোভ দানা বেঁধেছিল। সেই বিক্ষোভ অবশেষে ভাঙনে পর্যবসিত হল।

বিজেপির বিক্ষুব্ধ নেত্রী দলবল নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে
মালদহের গাজোলের বিধায়কের প্রবেশ পথ ধরেই দল ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন বিক্ষুব্ধ নেত্রী লক্ষ্মী সোরেন। প্রায় দুই শতাধিক কর্মীকে নিয়ে তিনি দলত্যাগ করেন। মঙ্গলবার যুব তৃণমূলের সভাপতির হাত ধরে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে সামিল হল। তৃণমূলের পতাকা হাতে নিয়ে তিনি ও তাঁর দলবল বিজেপির বিরুদ্ধে কামান দাগেন।

বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েই নিশানা
লক্ষ্মী সোরেন বলেন, দীপালি বিশ্বাস বিধায়ক থাকাকালীন গাজোলে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করেছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধেই আমাদের আন্দোলন ছিল। সেই তিনিই এবার বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। বিজেপি দল যাঁদের আশ্রয় দিচ্ছে, তাঁদের সঙ্গে একমঞ্চে রাজনীতি করা যায় না। তাই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছি আমরা।

দীপালির গমনের পথ ধরে লক্ষ্মী সোরেনের আগমন
দীপালির গমনের পথ ধরে লক্ষ্মী সোরেনের আগমন প্রসঙ্গে তৃণমূলের দাবি, সবে শুরু হল, আরও অনেক বড় ভাঙন অপেক্ষা করে আছে বিজেপির জন্য। বিজেপি ভেঙে দলে দলে নেতা-কর্মীরা আসছেন তৃণমূলে। যদিও বিজেপির জেলা সহসভাপতি পাল্টা জানান, লক্ষ্মী সোরেনের দলবদলে কোনও প্রভাবই পড়বে না, উনি পঞ্চায়েত ভোচেই জিততে পারেননি।

শুভেন্দুর হাত ধরে আরও নেতা আসবেন! তাই আগেভাগেই 'সতর্কবার্তা' জারি বিজেপির