২০১৬ সালে আসল পরিবর্তন আসবে বাংলায়, বললেন সিদ্ধার্থনাথ সিং
বাংলার আগামী বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এখন এগোতে চাইছে বিজেপি। দলের রাজ্য কমিটির দু'দিনের বৈঠক শেষে এ কথা পরিষ্কার করে দিলেন সিদ্ধার্থনাথ সিং। প্রসঙ্গত, সিদ্ধার্থনাথ সিং দলের তরফে পশ্চিমবঙ্গে সংগঠন দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন।
রবিবার একটি সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেছেন, "লোকসভা ভোটের ফলাফলের নিরিখে যদি বিচার করা যায়, তা হলে আমরা ১৫০টি বিধানসভা আসনে খুব ভালো ফল করেছি। ২৪টি আসনে প্রথম হয়েছি, ২৬টি আসনে দ্বিতীয় হয়েছি এবং ১০০টি আসনে আমাদের ভোটের হার যথেষ্টই বেশি ছিল। স্বাভাবিকভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিন্তান্বিত হয়ে পড়েছেন। কারণ বিজেপি-র কাছে মাটি হারাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। আমাদের লক্ষ্য ২০১৬ সাল। তৃণমূল কংগ্রেসকে আমরা ক্ষমতা থেকে সরাবই। বাংলার মানুষ ওদের ওপর বীতশ্রদ্ধ। ২০১৬ সালে নিশ্চিতভাবেই প্রকৃত পরিবর্তন আসবে।"
তিনি আরও বলেন, "তৃণমূল কংগ্রেস যে ৩৯ শতাংশ ভোট পেয়েছে, তার অন্তত ১০ শতাংশই রিগিংয়ের ফলে। রিগিং না হলে ফল অন্য রকম হত। ওদের চিরাচরিত ভোটব্যাঙ্ক অর্থাৎ সংখ্যালঘুরা এখন বিজেপি-র দিকে ঝুঁকছে। তাই সম্প্রতি বীরভূমের ইলামবাজারে সংখ্যালঘুদের ওপর তৃণমূল কংগ্রেসের গুন্ডাবাহিনী হামলা চালিয়েছে। বিজেপি-র উত্থানকে ঠেকাতে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সিপিএম এবং কংগ্রেসও হাত মিলিয়েছে। ওরা রাজ্যে সাম্প্রদায়িক অশান্তি বাধাতে চাইছে বলে খবর পেয়েছি।"
তিনি আরও বলেন, উত্তরপ্রদেশে যেমন গুন্ডারাজ আর ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতিই দস্তুর, তেমনই পশ্চিমবঙ্গেও সেইদিকে এগোচ্ছে। দুর্ভাগ্যের বিষয় হল, লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের অবস্থা দেখেও সমাজবাদী পার্টি বা তৃণমূল কংগ্রেস কিছু শিখতে চাইছে না। যদি তৃণমূল কংগ্রেস তাদের না শোধরায়, তা হলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আমরা এর জবাবদিহি চাইব।" ইলামবাজারে হিংসার ঘটনা খতিয়ে দেখতে এদিন বিজেপি-র একটি প্রতিনিধি দলও সেখানে যায়।