'বাংলায় বেনিয়মের লকডাউন হয়েছে, মমতার উচিত মোদীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করা'! খোঁচা রবিশঙ্করের
এদিন পশ্চিমবঙ্গের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে চেনা সুরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে একের পর এক তির বিদ্ধ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। এদিন বঙ্গ বিজেপির একটি ভার্চুয়াল সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। উল্লেখ্য, এদিনের সভায় সায়ন্তন বসু সহ বহু বিজেপি ব্যক্তিত্বরা হাজির ছিলেন।

রবিশঙ্কর প্রসাদের তোপ মমতাকে
'বাংলায় যদি লকডাউন সঠিকভাবে হত তাহলে এমন পরিস্থিতি হত না।..' এভাবেই এদিন তৃণমূল সরকারের অধীনে থাকা পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে তোপ দাগেন রবিশঙ্কর প্রসাদ। এছাড়াও রবিশঙ্কর প্রসাদ অভিযোগের সুরে বলেন, বাংলায় যে পার্টি ১৮ টি আসন পেয়েছে লোকসভায়, করোনার করুণ পরিস্থিতিতে সেই পার্টির রাজ্যপ্রধানের ওপর হামলা করতেও ছাড়ছে না তৃণমূল। তিনি বলেন ,'ভেবেছিলাম করোনার সময় অন্তত তৃণমূল বিরোধীদের ওপর হামলা করবে না।'

মোদী মমতার হাত মিলিয়ে কাজ করা উচিত!
এদিনের সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, বাংলায় যা পরিস্থিতি তাতে কেন্দ্রের মোদী সরকারের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে মমতা সরারের কাজ করা উচিত। কারণ মানুষের প্রাণ বাঁচানোই এখন প্রধান কাজ।

' কেন ' মমতা এমন করছেন?
এদিন হুঙ্কারের সুরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মমতা সরকারের দিকে প্রশ্ন তুলে বলেন , আম্ফান যখন এসেছিল বঙ্গে তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নরেন্দ্র মোদীকে একবার জাকতেই তিনি বাংলায় গিয়ে পরিস্থিতি দেখে নেন। আর সেখানে করোনায় এমন সংকটে কেন রাজ্য কেন্দ্রের সঙ্গে তালে তাল মিলিয়ে চলতে চাইছে না?

লকডাউন থেকে পরিযায়ী শ্রমিক প্রসঙ্গ
এদিন রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, ' পশ্চিমবঙ্গে প্রথমের দিকে কঠোর লকডাউন পালনই হয়নি । সেখানে পরে সংক্রমণ ছড়ানোর পর তা নিয়ে কঠোর হয়ে কী লাভ! ' এদিন রবিশঙ্কর প্রসাদ সাফ বার্তায় জানান, ' যে মুখ্যমন্ত্রী শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনকে করোনা স্পেশ্যাল বলেন, তাঁর কাছে শ্রমিকদের এমন আচরণই (তাঁর অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিস্থিতি বিবেচনা করছেন না) প্রাপ্য '।

আয়ুষ্মান ভারত স্কিম নিয়ে ক্ষোভ
কেন্দ্রের আয়ুষ্মান ভারত পশ্চিমবঙ্গে কেন মমতা ঢুকতে দিচ্ছেন না , তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন রবিশঙ্কর। তিনি বলেন, 'করোনা নিয়ে যদি বাংলার মানুষের জটিল পরিস্থিতি হয়ে থাকে', তাহলে তার জন্য দায়ী মমতা সরকার। তাঁর দাবি, আয়ুষ্মান ভারতের আওতায় থেকে করোনা পরিস্থিতি বহু রাজ্য সামলে উঠেছে। কিন্তু বাংলায় দিল্লি থেকে পরিদর্শক দল আসতেই তাঁরা সমস্যায় পড়েন।
ফোন থেকে চিনা অ্যাপ সরালেই মিলবে 'ফ্রি মাস্ক'! করোনা-লাদাখের জোড়া প্রচার বিজেপির