শোভন-বৈশাখীর পদত্যাগপত্র দেওয়া নিয়ে রত্না চট্টোপাধ্যায়
শোভন-বৈশাখীর পদত্যাগপত্র দেওয়া নিয়ে রত্না চট্টোপাধ্যায় বললেন, প্রথম কথা হল টিকিট পায়নি সেটা এখনও বলা যায় না. কারণ ২৯৪ এর মধ্যে এখন অনেক সিট বাকি রয়েছে। কিন্তু আমার মনে প্রশ্ন ওঠে শোভন বাবু আগেও যখন তৃণমূলের ছিল এটা পেলাম না ওটা পেলাম না বলে দল ছাড়লেন। বিজেপিতে গিয়ে ও আবার সেই এই পেলাম না ঐ পেলাম না বলে ছেড়ে দিলেন. রাজনীতি নিয়ে ছেলে খেলা করছে ওনারা।
রত্নার কথায়, রাজনীতি করা আগে লোকে শোভন বাবুর থেকে শিখতো তবে শোভন বাবু এখন যে সব কাজকর্ম করছে মানুষের মনে প্রশ্ন উঠছে, এই শোভন বাবুই কি সেই আগের শোভন বাবু?
ছেলে মানুষের মতো কাজ করছেন উনি। উনারা টিকিট চাইলেই যে দল টিকিট দেবে এর তো কোনো মানে নেই। আমাদের তৃণমূলেও অনেকে টিকিট পায়নি. আমার মনে হয় তবে এখনই উনি যাবেন না অনেক দরকষাকষি এখনো বাকি আছে. কারণ তৃণমূলে যখন ছিল তখন প্রচুর দরকষাকষি করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে শেষ পর্যন্ত না মানাতে পেড়ে বিজেপিতে গেছে। সেখানেও গিয়ে আমাকে শুধু পদ দিলে হবেনা বৈশাখী কেউ আমার সাথে পদ দিতে হবে. এইরকম দর কষাকষি করে রাজনীতি করা যায় না। শোভন বাবুর রাজনৈতিক এই ভবিষ্যতের জন্য তিনি নিজেই দায়ী। শোভন বাবুকে দেখে এখন আমার করুণা হয় দুঃখ হয়। আমাদের ছেড়ে যাওয়ার পর থেকেই ওনার অবনতি শুরু হয়ে গেছে. এখন তিনি মাটিতে গিয়ে ঠেকেছে।