শোভনকে জায়গা ছেড়ে দিতে কী করবেন রত্না, জানালেন মমতা-বৈশাখীর সাক্ষাতের পর
শোভনকে জায়গা ছেড়ে দিতে কী করবেন রত্না, জানালেন মমতা-বৈশাখীর সাক্ষাতের পর
তৃণমূলে রত্নার গুরুত্ব বাড়তেই শোভন ও বৈশাখী তাঁদের ভবিষ্যৎ ঠিক করতে উঠে পড়ে লেগেছেন। তাঁরা কোন দলে সক্রিয় হবেন, বিজেপি নাকি তৃণমূলে তা নিয়ে জল্পনা চলছে। এরই মধ্যে শোভন-বান্ধবী বৈশাখী তৃণমূল সুপ্রিম মমতার সঙ্গে সাক্ষাতের পরই বদল ঘটে পরিস্থিতির। শোভন-পত্নী রত্না চট্টোপাধ্যায়ও তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাখ্যা দেন।
রত্নার গুরুত্ব বৃদ্ধির পরই
সম্প্রতি রত্নার গুরুত্ব বৃদ্ধি হয়েছে শোভনের বিধানসভা ক্ষেত্রে। তৃণমূল তাঁকে বড়দায়িত্ব তুলে দিয়েছে। শোভনের বিধানসভা ক্ষেত্রের পাশাপাশি তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয় শোভনের ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডেরও। ওই ক্ষেত্রে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশমতো বৈশাখী কাজ করবেন বলে ফলাও করে জানিয়েও দেওয়া হয়। তারপরই নড়চড়ে বসেন শোভন। বিজেপিও সক্রিয় হয়ে ওঠেন তাঁকে কলকাতা পুরসভা ভোটে মুখ করতে।
মমতার সঙ্গে সাক্ষাতে পর
এরপরই প্রথমে পার্থ, পরে মমতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন শোভন-বান্ধবী বৈশাখী। শোভন একদিকে বৈশাখীকে পাঠিয়ে তৃণমূলে তাঁর অবস্থান পরখ করে নিতে তৎপর হন, অন্যদিকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি নাড্ডার ডাকে সাড়া দিয়ে বিজেপিতেও সক্রিয় হওয়ার সম্ভবনা বাড়িয়ে তোলেন। এই পরিস্থিতিতে মমতার সঙ্গে বৈশাখীর সাক্ষাৎ অন্য বার্তা দেয় রাজ্য রাজনীতিতে।
রত্নার তাৎপর্যপূর্ণ জবাব
রত্না এই সাক্ষাৎ-পর্বের পরই তাৎপর্যপূর্ণ জবাব দেন। তিনি বলেন, শোভন চট্টোপাধ্যায় ফিরেো এলে তাঁর চেযে খুশি আর কেউ হবেন না। তিনি যদি তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রে আসেন, তবে তাঁকে স্বাগত। এখানে বিধায়ক হিসেবে তাঁরই সবথেকে বেশি অধিকার। তিনি আসছেন না বলেই তো মানুষের পাশে দাঁড়াতে আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন দিদি।
শোভনকে জায়গা ছাড়তে প্রস্তত রত্না
রত্নার কথায়, তিনি শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিরোধিতা করতে রাজনীতির ময়দানে নামেননি। নেমেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পরিষেবা না পাওয়া মানুষগুলোর পাশে দাঁড়াতে। আজ দু-বছরেরও বেশি সময় বেহালার একাংশ রাজনৈতিক অভিভাবক হীন। কারণ তাঁদের বিধায়ক এখানে আসনে না। তাই বিধায়ক এলে, তিনি জায়গা ছেড়ে দিতে প্রস্তুত।
বিজেপি 'ক্লোজড চ্যাপ্টার’! তৃণমূলে শোভনের ভবিষ্যৎ খুঁজতে মমতা-সকাশে বৈশাখী