তৃণমূলে ফিরতে পারেন শোভন! রাজনীতির আবর্তে ফিরতে স্রেফ একটাই শর্ত আরোপ
শোভন বাড়ি ছাড়ার পর থেকেই তাঁর রাজনৈতিক গুরুত্ব হালকা হতে শুরু করে। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েও তিনি ফিরে পাননি গুরুত্ব।
শোভন বাড়ি ছাড়ার পর থেকেই তাঁর রাজনৈতিক গুরুত্ব হালকা হতে শুরু করে। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েও তিনি ফিরে পাননি গুরুত্ব। দিদির হাত স্নেহের কাননের মাথার উপর থেকে সরতেই তিনি যে অজ্ঞাতবাসে গিয়েছিলেন, পদ্ম-ছোঁয়াতেও তাঁর মুক্তি মেলেনি। এই অবস্থায় ফের শোভনকে একটা সুযোগ দিতে চাইলেন স্ত্রী রত্না।
'শোভনের রাজনৈতিক ভবিষ্যতে কোনও উত্থান দেখতে পাচ্ছি না'
রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সাফ কথা, বর্তমান পরিস্থিতিতে শোভনের রাজনৈতিক ভবিষ্যতে আর কোনও উত্থান দেখতে পাচ্ছি না। একটা সিদ্ধান্তই তাঁকে শেষ করে দিয়েছে। এখন একটা মাত্র পথই তাঁর খোলা আছে। তা হল ঘরে ফিরে আসা। একমাত্র ঘরে ফিরলেই আমাদের স্বার্থত্যাগে ফের গুরুত্বের আসনে বসতে পারেন তিনি।
এখনও ক্ষীণ সম্ভাবনা রয়ে গিয়েছে তবু
বিজেপিতে যোগ দেওয়া শোভনের উত্থানের সব সম্ভাবনা প্রায় শেষ করে দিয়েছিল। যদিও তৃণমূল কংগ্রেস তারপর অনেকবার সুযোগ দিয়েছিল। কিন্তু জেদ ধরে বসে থাকা শোভনের পথে কাঁটা বিছিয়ে দিয়েছে। এখনও ক্ষীণ সম্ভাবনা রয়ে গিয়েছে তাঁর। যদি শোভন ঘরে ফেরেন, তবেই তৃণমূলে ফেরার পথ সুগম হবে।
শোভনকে তৃণমূলে ফিরতে শর্ত
এই পরিস্থিতিতে রত্না চট্টোপাধ্যায় দিয়েছেন শর্ত। শোভনকে তৃণমূলে ফিরতে গেলে আগে ঘরে ফিরতে হবে। তা না হলে তাঁর তৃণমূলে ফেরা হবে না। ঘরের মানুষই একমাত্র তাঁর জন্য সব ত্যাগ করে ফের হারানো সম্মান পুনরুদ্ধার করে দিতে পারে। কেননা শোভনের উত্থানের পিছনে তাঁর ও তাঁর সন্তানদের স্বার্থত্যাগ রয়েছে।
শোভনের উত্থান হয়েছে ঘরে থেকে
শোভন-জায়া রত্না মনে করেন, শোভন যতদিন ঘরে ছিলেন, তৃণমূলে ছিলেন, তাঁর কাছে ছিলেন, ততদিন শোভনের শুধু উত্থানই হয়েছে। শোভন যখন শুধুমাত্র একজন কাউন্সিলর, তখন আমাদের বিয়ে হয়েছিল। তারপর শোভন বরো চেয়ারম্যান হয়েছে, মেয়র পারিষদ হয়েছে, সর্বোপরি মেয়র হয়েছে। তিনটি দফতরের মন্ত্রীও ছিলেন তিনি।
শোভন ঘর ছেড়ে সব হারিয়েছেন
শোভন যখন রত্নাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন তখনও তিনি মেয়র এবং তিন দফতরের মন্ত্রী। তারপর বৈশাখীর সময়ে একে একে সর্বহারা হয়ে গিয়েছেন শোভন। তিনি আর মেয়র নন। মন্ত্রীও নন। তিনি তৃণমূলেও নেই, বিজেপিতে থেকেও নেই। এখন তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ডুবে রয়েছে।
শোভন রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অন্ধকার
শোভন বিজেপিতেও সক্রিয় হননি। বৈশাখী তাঁকে বিজেপিতে নিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু তারপর দুজনেই বিজেপিতে ব্রাত্য হয়ে গিয়েছেন। বিজেপি শোভনকে চাইলেও বৈশাখীকে চাইছে না। তাই শোভনের কাছে ফের সেই দুটি পথ তৈরি হয়ে গিয়েছে। এক পথে আছে বিজেপি, অন্য পথে বৈশাখী। তিনি কোন পথ বেছে নেবেন, তার উপরই নির্ভর করবে শোভনের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ।
প্রায় ২ মাস ধরে জ্বলছে আগুন, ফের বিস্ফোরণ অসমে গ্যাসের কুয়োয়! আহত তিন বিদেশি এক্সপার্ট