শোভনের ফোন নম্বর থেকে মেসেজ রত্নাকে- ‘তাহলে সত্যেরই জয় হল’! ফের জটিল অঙ্ক
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে শোভনের ভাইফোঁটা নেওয়ার দিনেই আরও এক ঘটনা ঘটে গিয়েছিল অনেকের অজান্তেই। ওইদিন শোভনের ফোন নম্বর থেকে নাকি হোয়াটস অ্যাপে মেসেজ গিয়েছিল রত্নার ফোনে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ভাইফোঁটা নেওয়ার দিনেই আরও এক ঘটনা ঘটে গিয়েছিল অনেকের অজান্তেই। ওইদিন শোভনের ফোন নম্বর থেকে নাকি হোয়াটস অ্যাপে মেসেজ গিয়েছিল রত্নার ফোনে। সেই মেসেজে জানানো হয়েছিল- সত্যেরই জয় হল। এবার মিউচুয়াল ডিভোর্স দাও। তারপরই বিষয়টি দিদির নজরে এনেছিলেন রত্না।
মেসেজ পড়ে সটান দিদির বাড়ি
ওই মেসেজে আরও লেখা ছিল ছিল, বৈশাখীর সম্মানের জন্য লড়ে জিতলাম তো! এর পরই উত্তপ্ত মেসেজ বিনিময় হয়েছিল শোভন-রত্নার মধ্যে। পরদিনই সটান দিদির বাড়িতে চলে এসেছিলেন রত্না। মমতাকে তাঁর ফোনে আসা মেসেজও দেখিয়েছিলেন। শোভনের সেই মেসেজ দেখে মমতাও ক্ষুব্ধ হন বলে খবরে প্রকাশ।
কেন এসব মেসেজ, প্রশ্ন
মমতা সঙ্গে সঙ্গে শোভনকে ফোন করে জানতে চান, কেন এসব মেসেজ পাঠিয়েছে রত্নাকে। শোভন জানিয়ে দেন, তিনি কোনও মেসেজ পাঠাননি। রত্নার ফোন নম্বর ব্লক করা আছে। তাহলে মেসেজ পাঠাল কে? তা নিয়েই শুরু হয়েছে ধন্দ। এর আগেও শোভনের ফোনে রত্নার মেসেজ ঢুকেছিল। কী করে তা সম্ভব হল তা তিনি জানতে চেয়েছিলেন মোবাইল কর্তৃপক্ষের কাছেও।
রত্নার নম্বর ব্লক, সাফাই
শোভন যে রত্নার নম্বর ব্লক করে রেখেছেন, তা সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের কাছে জানান বৈশাখী। যেদিন থেকে ডিভোর্সের মামলা চলছে, সেদিন থেকেই শোভন রত্নার নম্বর ব্লক করে দেন। তাহলে কী করে মেসেজ পাঠামো সম্ভব। আইফোন ও হোয়াটস অ্যাপ কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি জানতে চাওয়া হয়েছে।
ও লেখা শোভনের হতে পারে না!
এদিকে রত্নার অভিযোগ, সেদিন যে ভাষায় মেসেজ করা হয়েছে, সেই ভাষা কোনওদিন তাঁর স্বামীর মুখে তিনি শোনেননি। তাঁর বিশ্বাস ওই মেসেজ শোভনের নয়। অন্য কেউ এর মধ্যে আছে। তিনিই ওইসব নোংরা কথা লিখেছেন। রত্মা ইঙ্গিতও করেছেন বিশেষ কারও দিকে।
জল্পনায় জল ঢেলেছে মেসেজ
উল্লেখ্য, দিদির বাড়িতে ভাইফোঁটা নিতে যাওয়ার পরই শোভনের ঘরওয়াপসি নিয়ে আলোড়ন পড়ে গিয়েছিল। তিনি তৃণমূলে ফিরছেন এবং মন্ত্রিত্ব ফিরে পাচ্ছেন এমন জল্পনাও শুরু হয়েছিল। কিন্তু তারপর সব চুপচাপ হয়ে যায়। একাংশের ধারণা এই মেসেজই বাধ সেধেছে শোভনের ঘরওয়াপসিতে।