বিজেপিই শেষে তৃণমূল কংগ্রেসের রত্নার কথা ভেবেছে! শোভন-বৈশাখীর ‘বিভাজন’ নিয়ে খোঁচা
দিলীপ ঘোষের আহ্বানে বিজয়া সম্মিলনীতে শোভনের আমন্ত্রণ আছে, কিন্তু আমন্ত্রণ নেই বান্ধবী বৈশাখীর। তাই বৈশাখীর সম্মানের কথা ভেবে বিজেপির অনুষ্ঠান বয়কট করেছেন শোভন। তারপরই শোভন অভিয়োগ করেন, বিজেপি তাঁর ও বৈশাখীর মধ্যে বিভাজন ঘটাতে চাইছে। তার পরিপ্রেক্ষিতেই এবার তীব্র খোঁচা দিলেন শোভন-জায়া রত্না।


বিজেপিকে ধন্যবাদ যে বুঝেছে শোভন-বৈশাখীর বিভাজন দরকার
রত্না বলেন, আমি বৈশাখীর সঙ্গে বিভাজন করে শোভনকে ঘরে ফেরানোর চেষ্টা করেছিলাম, পারিনি। বিজেপিকে ধন্যবাদ তাঁরাও বুঝেছে শোভন-বৈশাখীর বিভাজন ঘটানো দরকার। রত্না এদিন শোভন-বৈশাখীর রাজনীতির কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, শোভনের এই রাজনীতি গত ২২ বছরে আমি দেখিনি।

জোর করে কিছুই আদায় করা যায় না, বৈশাখীকে রত্না
রত্নার অভিযোগ, বৈশাখী সব জোর করে অধিকার করতে চায়। কেড়ে নিতে চায় সবকিছু। কিন্তু জোর করে কোনও কিছুই করা যায় না। আমাকে যদি তৃণমূল কোনও অনুষ্ঠা্নে আমন্ত্রণ না করে, আমি জোর করে বলব আমন্ত্রণ করতে? এও কি সম্ভব! বৈশাখী সেটাই করতে চাইছে!

শোভনের কাছে রাজনীতি এখন গৌণ, বৈশাখীই সব
আর শোভন চট্টোপাধ্যায়ের পরিস্থিতি দেখে আমি স্তম্ভিত। এই শোভনকে আমি চিনতে পারছি না। ২২ বছর ধরে যে শোভনকে দেখেছি, আর এখন যা দেখছি, তা পুরো ভিন্ন। দিলীপ ঘোষের ডাকা বিজয়া সম্মিলনী বয়কট করে শোভন বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাঁর কাছে রাজনীতি এখন গৌণ, বৈশাখীই সব।

বৈশাখীকে ডাকা হয়নি অনুষ্ঠানে, তাই শোভনও গরহাজির
দিলীপ ঘোষের ডাকা বিজয়া সম্মিলনী বয়কট করে শোভন বলেন, বৈশাখীকে ডাকা হয়নি ওই অনুষ্ঠানে। তাই তিনিও যাচ্ছেন না। তিনি বিজেপির অনুষ্ঠান বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিলেন। বিজেপির সঙ্গে শোভন-বৈশাখীর সম্পর্কে ফের জট তৈরি হল। শোভন-বৈশাখীর সঙ্গে মেনন-অমিতাভের বৈঠক ইতিবাচক হওয়ার পরও ঘুচল না জটিলতা।

শোভন-বৈশাখীর বিভাজন চায় বিজেপি
শোভন সাফ জানিয়ে দেন, তাঁদের নিয়ে বিভাজনের রাজনীতি করছে বিজেপি। তাঁরা কেউই বিজেপির বিজয়া সম্মিলনীতে যাবেন না। তাঁরা দুজনেই বিজেপির রাজ্য সমিতির আমন্ত্রিত সদস্য। তাঁদের একজনকে আমন্ত্রণ জানানো হল, অন্যজনকে জানানো হল না, তা মেনে নেওয়া যায় না। সেই কারণেই তাঁরা গরহাজির থাকছেন। সেইমতো তাঁরা গেলেন না বিজেপির বিজয়া সম্মিলনীতে।
মান্নান তৃতীয় বিকল্প গড়ার লক্ষ্যে পাহাড়ে! তারই মধ্যে প্রাতরাশ বৈঠক রাজ্যপালের সঙ্গে