আন্তর্জাতিক আঙিনায় রাজ্যের সংস্কৃতি, উত্তরবঙ্গকে বিশেষ গুরুত্ব কেন্দ্রের
কোচবিহারে হতে চলেছে রাষ্ট্রীয় সাংস্কৃতির মহোৎসব। এই অনুষ্ঠানে স্থানীয় লোক সংস্কৃতিকে জাতীয় স্তরে তুলে ধরা হবে। ২৬ মার্চ থেকে ২৯ মার্চ পর্যন্ত এই অনুষ্ঠান হতে চলেছে কোচবিহারে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সাংসদ কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় পর্যটনমন্ত্রী প্রহ্লাদ সি প্যাটেলে সঙ্গে। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছাড়াও অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন, কয়েকজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বেশ কয়েকজন সাংসদ।

স্থানীয় সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে ব্যবস্থা
কোচবিহারের সাংসদ সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, কোচবিহার তথা উত্তরবঙ্গে সমৃদ্ধ সংস্কৃতিকে দেশের মানুষের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক স্তরে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। বিষয়টি নিয়ে তিনি কেন্দ্রীয় পর্যটনমন্ত্রী প্রহ্লাদ সিং প্যাটেলের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানিয়েছেন। সেদিকে খেয়াল রেখেই এবার রাষ্ট্রীয় সাংস্কৃতির মহোৎসবের মতো অনুষ্ঠান কোচবিহারে করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এই ধরনের অনুষ্ঠান কোচবিহারে আগে কখনও হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রতিবছর পর্যটন ও সাংস্কৃতিক মন্ত্রক দেশের দুটি জায়গায় রাষ্ট্রীয় সাংস্কৃতিক মহোৎসব করে থাকে।

আন্তর্জাতিক দরবারে স্থানীয় সংস্কৃতি
এবছর ২৬ জানুয়ারি কোচবিহারের চণ্ডী নৃত্য তুলে ধরা হয়েছিল দিল্লিতে ২৬ জানুয়ারির অনুষ্ঠানে। এছাড়াও রয়েছেন ভাওয়াইয়া গান, বিষহরা, বৈরাতী নৃত্যও। সেইসব সংস্কৃতিকেই তুলে ধরা হবে এই রাষ্ট্রীয় সাংস্কৃতি মহোৎসব অনুষ্ঠানে।

লোকশিল্পীদের জানানো হবে সম্মান
কোচবিহারের সাংসদ জানিয়েছেন, এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্থানীয় লোকশিল্পীদের সম্মান জানানো হবে। পাশাপাশি তাঁদের আর্থিক সুবিধাও দেওয়া হবে।

কোচবিহারে রয়েছে রাজ ইতিহাস
স্বাধীনতার সময় পর্যন্ত কোচবিহারে ছিল রাজার শাসন। সেখানে রয়েছে রাজাদের নির্মীত প্রাচীন স্থাপত্য। এইসব বিদেশি পর্যটকদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা বলে জানিয়েছেন তিনি। সাংসদ হয়ে দিল্লি যাওয়ার পর তিনি রাজ আমলের নারায়নী সেনার নামে ভারতীয় সেনায় রেজিমেন্ট তৈরির দাবিও করেছিলেন। তিনি যেভাবে কোচবিহারের সংস্কৃতি তুলে ধরার চেষ্টা করছেন, তা এর আগে কেউ করেননি বলেও দাবি করেছেন নিশীথ প্রামাণিক।