বিজেপি ধাক্কা সামলে রাজি করাল রন্তিদেবকেই, প্রার্থী বিড়ম্বনায় মিলল সাময়িক স্বস্তি
তালিকা প্রকাশে হতেই খোদ প্রার্থীই জানিয়েছিলেন তিনি ভোটে লড়তে চান না। শেষমেশ সেই ঝক্কি সামলে বেসুরো নেতাকে রাজি করাল বিজেপি। হাওড়া দক্ষিণ থেকেই রন্তিদেব সেনগুপ্ত বিজেপির টিকিটে লড়তে সম্মত হলেন।
তালিকা প্রকাশে হতেই খোদ প্রার্থীই জানিয়েছিলেন তিনি ভোটে লড়তে চান না। শেষমেশ সেই ঝক্কি সামলে বেসুরো নেতাকে রাজি করাল বিজেপি। হাওড়া দক্ষিণ থেকেই রন্তিদেব সেনগুপ্ত বিজেপির টিকিটে লড়তে সম্মত হলেন। প্রথমে জানিয়ে ছিলেন, তিনি ভোটে লড়তে চান না। তারপর ভোলবদলে জানিয়ে দিলেন, শীর্ষ নেতৃত্বের কথা রাখতেই তিনি ময়দানে।
দিল্লি থেকে বিজেপির ঘোষণার পরই প্রার্থী হতে অস্বীকার করে রন্তিদেব জানান, কোনও অসন্তোষ নেই। একেবারেই ব্যক্তিগত কারণে তিনি প্রার্থী হিসেবে এবার ভোটে লড়তে রাজি ছিলেন না। তিনি প্রচারে এবং সংগঠনের কাজে থাকতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শীর্ষ নেতৃত্বের অনুরোধ ফেলতে না পারে তিনি শেষমেশষ ভোটে লড়তে রাজি হলেন।
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থী বেছে নিতে বিজেপি দফায় দফায় দিল্লিতে বৈঠক করেছে। বঙ্গ নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠক করেই সম্পূর্ণ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে পারেনি বিজেপি। প্রথমে মাত্র ৬০টি কেন্দ্রে, এবার মাত্র ৬৩ জনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তাও অস্বস্তি বেড়েছে বহু ক্ষেত্রে প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে। ঘোষণার পরই প্রার্থী হতে অস্বীকার করেছেন রন্তিদেব। আবার রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যকে নিয়েও স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব উষ্মা প্রকাশ করেছে।
বিজেপির প্রার্থী তালিকায় নাম থাকার পর প্রাক্তন সাংবাদিক রন্তিদেব সেনগুপ্ত জানিয়ে দেন, আমাকে না জানিয়েই আমার নাম ঘোষণা করা হয়েছে হাওড়া দক্ষিণের প্রার্থী হিসেবে। আমি দলের কাছে আবেদনও করিনি। তবু আমার নাম রাখা হয়েছে তালিকায়। আমি চাই ভালো প্রার্থী বেছে নিক বিজেপি, আমি প্রার্থী হতে চাই না। আমার নাম বাদ দিয়ে হাওড়া দক্ষিণ প্রার্থী করাই শ্রেয় হবে।