রামনবমী : উত্তর প্রদেশের মতো বাংলার রাজনীতিও ভাসবে ধর্মীয় ভাবাবেগে?
রামনবমী নিয়ে বিজেপি ও তাদের সহযোগী দল আরএসএস ও বজরং দল ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতি করছে অভিযোগ তুলে পাল্টা দিতে তৃণমূল নেমে পড়ল হনুমান আরাধনায়।
কলকাতা, ৫ এপ্রিল : আজ রাজ্যে রাম বনাম হনুমান। রাম ও হনুমান নিয়ে লড়াই জমে উঠেছে তুঙ্গে। রামনবমী নিয়ে বিজেপি ও তাদের সহযোগী দল আরএসএস ও বজরং দল ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতি করছে অভিযোগ তুলে পাল্টা দিতে তৃণমূল নেমে পড়ল হনুমান আরাধনায়। কোনও কোনও জায়গায় রামনবমী পালনও করবে তৃণমূল। তবে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বা বিজেপি-র মতো মিছিল করে নয়, ভজন-কীর্তন আরাধনায় রামপুজোয় মাতবে তৃণমূল।
রামনবমী নিয়ে বিজেপি-তৃণমূলের লড়াই গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। শেষপর্যন্ত অনুমতি মিলেছে রামনবমীর। আইনি যুদ্ধে হেরে তৃণমূল কংগ্রেস রাম ভক্ত হনুমানের স্মরণ নিয়েছে। সম্প্রতি দেশের বিধানসভা নির্বাচনে দারুন সাফল্য পাওয়ার পর বিজেপির লক্ষ্যে এখন বাংলা। প্রতি বছরই বিজেপি ঘটা করে রামনবমী পালন করে ঠিকই, এবার এরাজ্যে রামনবমীকে অন্য মাত্রায় নিয়ে যেত নির্দেশ এসেছে আরএসএসের তরফে।
সেই নির্দেশ মোতাবেক বিজেপি, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দলগুল মিলিত হয়ে জোরদার প্রচার চালাচে নেমেছে। রাজ্যজুড়ে বুধবার মিছিল বের হবে। একেবারে তির-ধনক হাতে মিছিল করে বাংলায় রাম-ঝড় তুলতে চাইছে বিজেপি। এই রাম নবমীর মাধ্যমে ধর্মীয় মেরুকরণের খেলায় নেমে পড়েছে পদ্ম শিবির। সঙ্গে সহযোগী দলগুলোও। তৃণমূল এই ঝড় ঠেকাতে নানা 'ফন্দি' এঁটেছে। কিছুই ধোপে টোকেনি। শেষপর্যন্ত রাম বন্দনা ও হনুমান পুজোর মাধ্যমে বিজেপিকে পাল্টা দেওয়ার ক্ষীণ চেষ্টা তৃণমূলের।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাজ্যের সমস্ত জেলাতেই বেরোবে রামনবমীর মিছিল। মূলত আরএসএস, বজরং দল ও হিন্দু সংহতির দলের ব্যানারে এই মিছিল হবে। তবে সেই মিছিলে থাকবেন বিজেপি নেতা-নেত্রীরা। রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠে পড়েছে, তবে কি উত্তর প্রদেশের মতো বাংলার রাজনীতিও ভাসবে ধর্মীয় ভাবাবেগে? বিজেপি সেই আশাতেই দিন গুণছে। তৃণমূল চাইছে যে কোনও মূল্যে ধর্মীয় মেরুকরণ ঠেকাতে।