সন্ন্যাসী হওয়া নয়, তোমাকে প্রয়োজন অন্য কাজে। তাঁকে বলেছিলেন আত্মস্থানন্দজি।
৯৮ বছর বয়সে প্রয়ান রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের পঞ্চদশ প্রেসিডেন্ট স্বামী আত্মস্থানন্দজির। আজ শেষ কৃত্যে যোগ দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রয়াত
হলেন
রামকৃষ্ণ
মঠ
ও
মিশনের
পঞ্চদশ
প্রেসিডেন্ট
স্বামী
আত্মস্থানন্দজি।
রবিবার
বিকেলে
তিনি
প্রয়াত
হন।
মৃত্যুকালে
তাঁর
বয়স
হয়েছিল
আটানম্বই
বছর।
দুহাজার
পনেরো
থেকে
কিডনি
ও
মূত্রঘটিত
সমস্যায়
ভুগছিলেন
তিনি।
ছিল
বার্ধক্যজনিত
নানা
সমস্যাও।
আজ,
সোমবার
রাত
নটা
নাগাদ
তাঁর
শেষকৃত্য
সম্পন্ন
হবে।
শেষকৃত্যে
যোগ
দিতে
পারেন
প্রধানমন্ত্রী
নরেন্দ্র
মোদী।
গতকাল
বিকেলে
প্রেসিডেন্ট
মহারাজের
আশঙ্কাজনক
অবস্থার
খবর
পেয়ে
তাঁকে
দেখতে
যান
মুখ্যমন্ত্রী
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়।
শেষ
কৃত্যের
আগে
পর্যন্ত
বেলুড়
মঠের
সংস্কৃতি
ভবনে
আত্মস্থানন্দজির
মরদেহ
শায়িত
থাকছে
শেষ
শ্রদ্ধা
জ্ঞাপনের
জন্য।
আত্মস্থানন্দজির
প্রয়াণের
কিছুক্ষণের
মধ্যেই
ট্যুইট
করে
শোকবার্তা
লেখেন
মুখ্যমন্ত্রী।
আত্মস্থানন্দজির
প্রয়াণকে
স্বজনবিয়োগ
আখ্যা
দিয়ে
ট্যুইট
করেন
প্রধানমন্ত্রী।
শোক
প্রকাশ
করেছেন
রাজ্যপাল,
কংগ্রেস
সভানেত্রী
সনিয়া
গান্ধী,
সিপিএম
রাজ্য
সম্পাদক
সূর্যকান্ত
মিশ্র।
গুজরাটেই
নরেন্দ্র
মোদীর
সঙ্গে
মহারাজের
আলাপ।
মোদী
গিয়েছিলেন
সন্ন্যাসী
হতে।
মহারাজ
তাঁর
সঙ্গে
কথা
বলে
পরামর্শ
দিয়েছিলেন,
সন্ন্যাসী
হওয়া
তোমার
কাজ
নয়।
অন্য
কাজে
তোমাকে
প্রয়োজন।
এর
পর
রাজনীতিতে
যোগ
দেন
নরেন্দ্র
মোদী।
The demise of Swami Atmasthananda ji is a personal loss for me. I lived with him during a very important period of my life. pic.twitter.com/eY3TKU41Xf
— Narendra Modi (@narendramodi) June 18, 2017
ভুজে ভূমিকম্পের পর মহারাজ ছুটে গিয়েছিলেন। তখন তিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট। নিজে তদারকি করেছিলেন ত্রাণ ও উদ্ধারের যাবতীয় কাজের।
তাঁকে যদি কেউ জিজ্ঞাসা করতেন "কখনও চিন্তিত হতে দেখি না তো আপনাকে। কী করে এত শান্ত থাকেন?"হাতে ধরা বিবেকানন্দের বাণী সম্বলিত পুস্তিকা দেখিয়ে সন্ন্যাসীর জবাব ছিল "সব সমস্যা সমাধান হাতে নিয়েই ঘুরছি। চিন্তিত হওয়ার অবকাশ নেই। "
১৯১৯ সালে ঢাকার কাছে সাবাজপুরে এক বনেদি পরিবারে জন্ম সত্যকৃষ্ণ ভট্টাচার্যের। পাঁচ ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিন ভাই ও এক বোনই সন্ন্যাস নিয়েছিলেন। সবাইকে ছাপিয়ে যান সত্যকৃষ্ণ। মাত্র উনিশ বছপ বয়সে রামকৃষ্ণ মঠে গিয়ে দীক্ষা নেন স্বামী বিজ্ঞানানন্দের কাছে। এর তিন বছর পর সত্যকৃষ্ণ যোগ দেন বেলুড় মঠে। চারবছর পর ১৯৪৫-এ মঠের অধ্যক্ষ স্বামী বিরজানন্দের কাছে ব্রক্ষ্মচর্যের দীক্ষা লাভ করেন এবং আরও চার বছর পর স্বামী আত্মস্থানন্দ নামে সন্ন্যাসজীবনে ব্রতী হন তিনি।