মমতার প্রশাসনের কাজে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপে সংঘাত চরমে! প্রতিবাদে উত্তাল রাজ্যসভা
প্রশাসনের কাজে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ নিয়ে সংসদে আলোচনার দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠল রাজ্যসভা। তৃণমূল কংগেসের সাংসদরা এই বিষয়ে আলোচনা চেয়ে নোটিশ দেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের কাছে।
প্রশাসনের কাজে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ নিয়ে সংসদে আলোচনার দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠল রাজ্যসভা। তৃণমূল কংগেসের সাংসদরা এই বিষয়ে আলোচনা চেয়ে নোটিশ দেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের কাছে। কিন্তু তৃণমূল সাংসদদের সেই আবেদন পত্রপাঠ খারিজ করে দেন তিনি। এরপরই রাজ্যসভায় শুরু হয় সম্মিলিত প্রতিবাদ। তৃণমূলের সঙ্গে একযোগে প্রতিবাদে শামিল হন কংগ্রেস সাংসদরাও। অন্যান্য বিরোধী দলের সাংসদরাও বিক্ষোভ দেখান। শেষমেশ রাজ্যসভা মুলতবি করে দেওয়া হয় এদিনের জন্য।
ঘটনার সূত্রপাত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে রাজ্যপালের একটি চিঠিকে কেন্দ্র করে। রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী সরাসরি জেলা প্রশাসনের কাছে চিঠি লিখে কেন্দ্রীয় প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করতে চান। সেই চিঠিতে মালদহ ও মুর্শিদাবাদের কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্প ও রাজ্যের প্রকল্পের কাজ কোন অবস্থায় তা জানতে চান রাজ্যপাল। তা নিয়ে তিনি বৈঠকও ডাকেন।
এরপরই রাজ্যের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়, রাজ্য সরকারকে অন্ধকারে রেখে রাজভবন থেকে কী করে চিঠি লেখা হয় জেলা প্রশাসনের কাছে। রাজ্যপাল জানতে চাইতেই পারেন যে কোনও বিষয় নিয়ে। তাঁর সাংবিধানিক অধিকার যেমন রয়েছে, তেমনই জানার জন্য সাংবিধানিক নিয়মও রয়েছে। সেইমতো রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান রাজ্যপাল প্রশাসনিক প্রধান মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এ বিষয়ে তথ্য চাইতেই পারতেন।
এ বিষয়ে তৃণমূল সাংসদ সুধাংশুশেখর রায় বলেন, রাজ্যপাল রাজ্য সরকারকে সম্যক জানিয়েই এই বৈঠক করার চিঠি দিতে পারতেন জেলা প্রশাসনের কাছে। কিংবা সংশ্লিষ্ট দফতরের মন্ত্রীদের ডেকে জানতে পারতেন কোনও প্রকল্প নিয়ে। তা না করে সরাসরি তিনি জেলা প্রশাসনের কাছে চিঠি লিখে সংবিধানবিরোধী কাজ করেছেন। সুধাংশুশেখর রায় বলেন, আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। আর শুধু নিন্দা করছি না, রাজ্যপালের এই হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এদিন রাজ্য প্রশাসনের কাজে রাজ্যপালের এই হস্তক্ষেপের বিরোধিতায় সংসদে জোটবদ্ধ প্রতিবাদ হয়। বিরোধী সাংসংদরা জানান, যতক্ষণ না এই বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে আমাদের প্রতিবাদ চলতে থাকবে। রাজ্যসবার চেয়ারম্যানও আলোচনা খারিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন। শেষপর্যন্ত বিরোধীদের প্রতিবাদের মুখে পড় রাজ্যসভা মুলতবি হয়ে য়ায়।
[আরও পড়ুন: নতুন আশার পাহাড় সফরে নয়া সমীকরণের খোঁজে মমতা, মোদী-হটানোর 'ব্লু-প্রিন্ট' তৈরি]