বাংলায় দেওয়াল লিখন স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, ১১-র পর একুশেও পরিবর্তনের পূজারি রাজীব
আবারও পরিবর্তনের দলে নাম লিখিয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১১-য় একবার পরিবর্তন করেছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বামফ্রন্ট শাসনের অবসান ঘটেছিল বাংলায়। এবার বিজেপির হাত ধরে আসবে প্রকৃত পরিবর্তন।
আবারও পরিবর্তনের দলে নাম লিখিয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১১-য় একবার পরিবর্তন করেছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বামফ্রন্ট শাসনের অবসান ঘটেছিল বাংলায়। এবার বিজেপির হাত ধরে আসবে প্রকৃত পরিবর্তন। বাংলায় সেই দেওয়াল লিখন স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। এবার পরিবর্তন আসছে। পার্শ্বশিক্ষকদের সভায় গিয়ে বলেন রাজীব।
বাংলায় বাজেটের আকারে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি
রাজীব বলেন, ভোট এসে গিয়েছে তাই দুয়ারে সরকার, পাড়ায় পাড়ায় সমাধানের এত ধূম পড়েছে। এসব হচ্ছে ভোটের জন্যই। তৃণমূল কংগ্রেস এখন যা কিছু করছে, সবই ভোটের দিকে চেয়ে। শুধু দুয়ারে সরকার বা পাড়ায় পাড়ায় সমাধানই নয়, বাংলায় বাজেটের আকারে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
কাকে বঞ্চিত করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় মমতার সরকারকে নিশানা করে বলেন, কেন্দ্রের বরাদ্দ পেতে দেয়নি রাজ্য। প্রতিহিংসা পরায়ণ রাজনীতি করছে তৃণমূল সরকার। মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু মানুষ ওত বোকা নন। কেন্দ্রের কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্প চালু না করে কাকে বঞ্চিত করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তা একবার ভেবে দেখুন।
কেন ডাবল ইঞ্জিন সরকার, বললেন রাজীব
রাজীব বলেন, কেন্দ্রের প্রকল্প চালু না করে বাংলাকেই বঞ্চনা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বঞ্চিত হয়েছে বাংলার কৃষক, বাংলার জনগণ। আমরা ডাবল ইঞ্জিন সরকার বলছি এই কারণে, আমরা বাংলার ভালো চাই। আমরা চাই রাজ্যের কৃষক-বন্ধু প্রকল্পও থাক, আর কেন্দ্রের কিষাণ সম্মান নিধিও চালু হোক।
স্বাস্থ্যসাথীও চাই, চাই আয়ুস্মান ভারতও
রাজীবের কথায়, আবার স্বাস্থ্যসাথীও চাই, চাই আয়ুস্মান ভারতও। যদি বাংলার মানুষ দুটো কভারেজই পায়, তাহলে ক্ষতিটা কী! রাজ্যের সরকার শুধু কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাত করতেই ব্যস্ত কিন্তু ভাবা হয়নি বাংলার জনগণের কথা। আমরা তাই বলছি, মানুষের উন্নয়নের স্বার্থে ডাবল ইঞ্জিন সরকার দরকার বাংলায়।
পায়ের তলায় মাটি নেই তৃণমূলের
এদিন অভিষেকের আক্রমণের জবাব দিতে গিয়ে তিনি বলেন, এই যে কুরুচিকর কথা বলা হচ্ছে, সেটা কি বাংলার সংস্কৃতি? যার আত্মসম্মান বোধ থাকবে, সে তৃণমূলে থাকতে পারবে না। তৃণমূল সম্মান দিতে পারছে না। তাই দীনেশ ত্রিবেদীর মতো স্বচ্ছ মানুষও তৃণমূল ছেড়ে দিলেন। এই সরকার বুঝতে পেরে গিয়েছে, তাদের পায়ের তলায় মাটি নেই।